বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। আর তৃণমূলে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা। হুগলির দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা দিদি নম্বর ওয়ান। এখানে জমে উঠেছে তারকার যুদ্ধ। কিন্তু আচমকা হুগলির জন্য কেন রচনাকে বাছলেন মমতা? হুগলির বলাগড়ে এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা। তিনি বলেন, আমি রচনাকে প্রার্থী করেছি। কারণ যিনি এখানে বিজেপির প্রার্থী আছেন তিনি সকলের গলারই লকেট। সঙ্গে সঙ্গে তিনি যোগ করেন, আমি খারাপ সেন্সে বলছি না। ভালো সেন্সেই বলছি। আর আমি বলব অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো। রচনাকে তাই প্রার্থী করেছি। বলেন মমতা। তবে সকলের গলারই লকেট বলে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটা অবশ্য পরিস্কার নয়। রুপোলি দুনিয়ায় লকেট- রচনা দুজনেই পরিচিত নাম। রচনাকে এখনও দেখা যায় নানা শো-তে। তবে লকেটকে সেভাবে আর দেখা যায় না অভিনয়ের জগতে। তিনি ২০১৯ সালের হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও টিকিট পেয়েছেন তিনি। চলছে জোর লড়াই। বাসিন্দাদের মতে, বেশ হেসে হেসেই প্রচার করছেন রচনা। অনেকটাই হালকা মেজাজে। তবে লকেটের কাছে এই লড়াই বেশ সিরিয়াস। মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। একাধিক আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তবে শেষ পর্যন্ত কার পাশে থাকবেন সাধারণ মানুষ সেটাই দেখার। এসবের মধ্য়েই অভিনেত্রী রচনা, আর সাংসদ লকেটের লড়াইকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন হুগলির সাধারণ মানুষ। একদিকে এখানেই জ্বলজ্বল করছে সিঙ্গুর ইস্যু, আবার এখানেই এখনও বন্ধ ডানলপ। কতটা শিল্প হল, কৃষকদের পাশে কতটা থাকল তৃণমূল তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন চলছে। অন্য়দিকে লকেট গত পাঁচ বছরে কতটা কাজ করলেন তা নিয়েও চর্চা কিছু কম হচ্ছে না। তবে এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই রচনা বলেছিলেন, 'প্রচুর খাটছি। এবং এই খাটনি চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। সব ভালো ভাবে হোক এটাই চাই। আপনারা পাশে থাকুন।' একই সঙ্গে তিনি এদিন কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেন বিশেষ বার্তা। বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। জয় নিশ্চিত। কোনও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করিনি। তবে আমি পজিটিভ ভাবনাচিন্তা রাখার মানুষ। আমি বিশ্বাস করি শ্রম দিলে, আত্মবিশ্বাস রাখলে কোনও কিছুই আটকায় না।’বাস্তবিকই মাছ কিনছেন, সবজি কিনছেন, প্রচার করছেন, হাসছেন, হাসাচ্ছেন, নানা কথা বলছেন, যা শুনে হাসছে হুগলি, তার মধ্যেই চলছে জমিয়ে প্রচার। সব মিলিয়ে হুগলি তৃণমূলে এমন 'কমেডি' এর আগে শেষবার কবে দেখেছেন বাসিন্দারা তা নিয়েও চর্চা চলছে পুরোদমে।