বেলা ১২ টা ৩৯ মিনিটে দাদুকে ভারতরত্ন প্রদানের ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর বেলা আড়াইটে নাগাদ বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার ঘোষণা কর🌸লেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের (আরএলডি) সুপ্রিমো জয়ন্ত চৌধুরী। দাদু চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্ন প্রদানের পরে মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে যে সাংবাদিক বৈঠক করেন জয়ন্ত, সেখানেই এনডিএ জোট যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আরএলডি সুপ্রিমো বলেন, ‘আজ কোন মুখে আপনাদের প্রশ্নের জবাবে না বলব।’ যা লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির মুখের হাসি আরও চওড়া করবে। সেইসঙ্গে তাদের চালটা পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে আরও স্বস্তি পাবে বিজেপি। কিন্তু চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্নের মধ্যে রাজনৈতিক মাহাত্ম্য কী আছে?
জাঠ ফ্যাক্টর
রাজনৈত🌊িক মহলের বক্তব্য, চৌধুরী চরণ সিং আদতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে এখনও তাঁর নামে ভোট হয়। তাঁর দল আরএলডির একটা মজবুত ভোটব্যাঙ্ক আছে। লোকসভা ভোটে যেটার ফায়দা⛦ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। কিন্তু লোকসভা ভোটের ঠিক আগে চৌধুরী চরণকে ভারতরত্ন দিয়ে পুরো পাশা পালটে দিয়েছে মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। আর তারপর এনডিএ জোটে আরএলডি যোগ দেওয়ায় মোদীদের হাসি আরও চওড়া হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি সার্বিকভাবে উত্তরপ্রদেশের জাঠদের মধ্যে মোদী সরকারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। প্রভাব পড়বে ভোটব্যাঙ্কে। শুধু তাই, আরও একাধিক রাজ্যের ভোটব্যাঙ্কেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো রাজ্যের জাঠ ভোটও আসবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের দিকে। বিশেষত পঞ্জাব এবং হরিয়ানার জাঠ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিজেপির বিরুদ্ধে যেতে দেখা গিয়েছে। চৌধুরী চরণকে ভারতরত্ন দিয়ে তাঁদের একাংশের মন জিতে নিয়েছে মোদী সরকার। যা মোদীদের♍ হ্যাটট্রিকের পথ প্রশস্ত করবে।
কৃষক ফ্যাক্টর
চৌধুরী চরণকে ভারতরত্ন প্রদানের বিষয়ে কথা বলার সময় মোদীর কথায় কৃষির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। আর সেটা কেন হয়েছে, তা সহজেই অনুমেয় বলেꦆ রাজনৈতিক মহলের মত। ওই মহলের মতে, কৃষক সমাজে এখনও চৌধুরী চরণকে এখনও শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়। সেই শ্রদ্ধার ব্যক্তিকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রদান করা হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে মোদী সরকারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। প্রভাব পড়বে ভোটব্যাঙ্কে।
আরও পড়ুন: Bharat Ratna Charan Singh: সাদামাটা জীবন, কৃষক নেতা, ভারতরত্নে ভূষিত চরণ সিং, রইল 🐓তাঁরই কিছু কথা
রাজনৈতিক মহলের মতে, কৃষক আন্দোলনের জেরে একাটা সময় বেশ চাপে ছিল মোদী সরকার। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের কৃষি বলয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে কৃষি আইন🤡 ফেরত নিয়েছিল মোদী সরকার। তারপর ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপি। সেইসময় যেটুকু কৃষক অসন্তোষ ছিল, সেটা এবার আরও কমে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: Bharat Ratna: ভোটের আগে বড় চাল! ২ প্রাক্তন প্রধানমন♍্ত্রী,🎐 সবুজ বিপ্লবের জনক পাচ্ছেন ভারতরত্ন