এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন রফিকুর রহমান। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন জয়দেব মান্না। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের জামালউদ্দিন।উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কলকাতা শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি জেলা। জেলাটি প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৮৩ সালে ডঃ অশোক মিত্রের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি এই জেলাকে বিভাজনের সুপারিশ করেন। ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ ২৪ পরগণা জেলাটিকে দু’ভাগ করে ওই জেলার উত্তরাংশ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্থাপন করা হয়৷ এর প্রশাসনিক ভবন ও সদর দপ্তর বারাসত শহরে অবস্থিত৷ বারাসাত, বারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট, বিধাননগর এই পাঁচটি মহকুমা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা গঠিত হয়েছে।আমডাঙা (বিধানসভা কেন্দ্র) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।এই কেন্দ্রটি আমডাঙা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দত্তপুকুর-১, দত্তপুকুর-২ ও কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বারাসাত-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রটি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রফিকুর রহমান জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৬ হাজার ১৯৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী আব্দুস সাত্তার। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৭৩ হাজার ২২৮৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রফিকুর রহমান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী আব্দুস সাত্তারকে ২২ হাজার ৯৬৫ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের রফিকার রহমান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের আব্দুস সাত্তারকে পরাজিত করেন।একদা বামেদের শক্ত ঘাটি ছিল এই আমডাঙা কেন্দ্র। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের আব্দুস সাত্তার আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের রফিকার রহমানকে পরাজিত করেন। তার আগে টানা ২৫ বছর বামেরা এই আসনে ক্ষমতায় ছিল। ২০০১ সালে সিপিআইএমের হাশিম আব্দুল হালিম তৃণমূল কংগ্রেসের ডা. এম নূরুজ্জামান, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের এমডি. রফিকুল ইসলাম, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের ইদ্রিস আলী, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের অশোককৃষ্ণ দত্ত, ১৯৮২ সালে আইইউএমএলের সি.এফ.আলি ও ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির মীরা দত্তকে পরাজিত করেন হাশিম।এর আগে আমডাঙা কেন্দ্রটি ছিল না।