এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইদ্রিস আলি। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন মেহবুব আলম। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের কামাল হোসেন।মুর্শিদাবাদ জেলা হল মালদা বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার মধ্য দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে গিয়ে জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। নদীর পশ্চিমের অংশ রাঢ় অঞ্চল ও পূর্বের অংশ বাগড়ি অঞ্চল নামে পরিচিত। ৫.৩১৪ বর্গ কিলোমিটার(২,০৬২ বর্গ মাইল) আয়তনের এলাকা এবং ৭১.০২ লক্ষ জনসংখ্যা থাকায় এটি একটি জনবহুল জেলা। মুর্শিদাবাদ ভারতের নবমতম(ভারতের ৬৪১টি জেলার মধ্যে) জনবহুল জেলা। এই জেলার সদর দপ্তর বহরমপুর শহরে অবস্থিত।মুর্শিদাবাদ নবাবী আমলে বাংলার রাজধানী ছিল। বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খানের নাম অনুসারে মুর্শিদাবাদ শহর এবং জেলার নামকরণ হয়েছে। লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্র ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।এই কেন্দ্রটি ভগবানগোলা-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ভগবানগোলা, হনুমন্তনগর, কুঠিরামপুর, মহিষস্থলী, হাবাসপুর, মহম্মদপুর ও সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভগবানগোলা-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী মহসিন আলম জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার ৩৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু সুফিয়ান। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ৭৩২৷ সিপিএম প্রার্থী মহসিন আলম তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে ৩৬ হাজার ৩০৫ ভোটে পরাজিত করেন।২০১১ সালের নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির চাঁদ মহম্মদ তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল কংগ্রেসের সাগীর হোসেনকে পরাজিত করেন। বিরোধী কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়দ আলমগীরকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী তাঁকে সমর্থন করেন।২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৎকালীন ডব্লিউবিএসপি’র চাঁদ মহম্মদ ভগবানগোলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বি কংগ্রেসের আবু সুফিয়ান সরকারকে পরাজিত করেন চাঁদ। আবার ২০০১ সালে ডব্লিউবিএসপি’র মুজিবুর রহমান কংগ্রেসের আবু সুফিয়ান সরকারকে এই আসনে পরাজিত করেন। তার আগে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের আবু সুফিয়ান সরকার সিপিআইএমের সৈয়দ নবাবজানি মির্জাকে পরাজিত করেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএম ও নির্দলের সৈয়দ নবাবজানি মীর্জা কংগ্রেসের ইসলাম নজরুল ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের মুজিবুর রহমানকে এই আসনে পরাজিত করেন।১৯৮২ সালে কংগ্রেস—নির্দলের কাজী হাফিজুর রহমান নির্দলের শৈলেন অধিকারী ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের শেখ কাজিমউদ্দিনকে হারিয়ে দেন। ১৯৭২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের মহম্মদ দীদার বক্স এই আসনে জয়ী হন। তারও আগে ১৯৭১ সালে নির্দলের এমডি.সামায়ুন বিশ্বাস এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৬৯ সালে এসএসপি’র শৈলেন্দ্রনাথ অধিকারী জেতেন। আবার ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এস. ভট্টাচার্য জিতেছিলেন। তার আগে ১৯৬২ সালে পিএসপি'র শৈলেন্দ্রনাথ অধিকারী জয়লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের হাফিজুর রহমান কাজী ভগবানগোলা আসনে জিতেছিলেন।