এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুভাষ রায়। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন দীপক বর্মণ। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের ক্ষিতিশচন্দ্র রায়। এই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।আলিপুরদুয়ার পুরসভা এবং মাদারিহাট–বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার–১, আলিপুরদুয়ার–২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম–এই ছয়টি ব্লক নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠিত হয়। এই জেলায় ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৯টি সেনসাস টাউন আছে। জেলার সদর আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ার জেলার থানাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, শামুকতলা, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, কালচিনি, জয়গাঁ, মাদারিহাট ও বীরপাড়া। এই জেলায় ভারতের দু’টি জাতীয় উদ্যান আছে - বক্সা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। আলিপুরদুয়ার পুরসভা ছাড়াও এই জেলায় ছ’টি ব্লকের অধীনে ন’টি সেনসাস টাউন ও ৬৬টি গ্রামপঞ্চায়েত আছে। ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ফালাকাটা (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের (তফসিলি উপজাতি) অন্তর্গত।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনিল অধিকারী জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৬,৬৪৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী ক্ষিতিশচন্দ্র রায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৯,৮০৮৷ তৃণমূল প্রার্থী অনিল অধিকারী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী ক্ষিতিশচন্দ্র রায়কে ১৬,৮৩৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অনিল অধিকারী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের রবীন্দ্রনাথ বর্মনকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬, ২০০১, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআইএমের জগেশচন্দ্র বর্মণ জয়ী হয়েছিলেন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের অনিল অধিকারীকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের জগেন্দ্রনাথ সিংহ রায় কংগ্রেসের ললিত মোহন রায়, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের জগেশচন্দ্র রায় ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের গজেন্দ্রনাথ বর্মণকে পরাজিত করেছিলেন জগেশচন্দ্র। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের জগদানন্দ রায় এই আসনে জিতেছিলেন।