এই তফসিলি জাতি কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন নরোত্তম বিশ্বাস।এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন সুব্রত ঠাকুর। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন সিপিআইয়ের কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর।গাইঘাটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এই কেন্দ্রটি ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি উন্মুক্ত আসন ছিল।এই কেন্দ্রটি গোবরডাঙা পৌরসভা শুটিয়া, ধর্মপুর-১, ইচ্ছাপুর-১, ধর্মপুর-২, ইচ্ছাপুর-২, জলেশ্বর-১ ও শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে পড়ছে। এছাড়া বেড়গুম-১, বেড়গুম-২, মছলন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো হাবড়া-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত রয়েছে। গাইঘাটা (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি)’র অন্তর্গত। আগে এই কেন্দ্রটি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বনগাঁয়ের জনসংখ্যা ছিল ৩৩০,২৮৭ জন। যার মধ্যে ২৬৫,৫২৬ জন গ্রামীণ ও ৬৪,৭৬১ জন শহুরে ছিল। এখানে ১৬৯,২১৬ অর্থাৎ ৫১শতাংশ পুরুষ ও ১৬১,০৭১ (৪৯ শতাংশ) মহিলা ছিল। জনসংখ্যা ৬ বছরের নিচে ছিল ২৯,২২৮ জন।১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান(পরবর্তী বাংলাদেশ) থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা'সহ গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলোতে শরণার্থীরা আসেন।তারপরই ঘনবসতিপূর্ণ হয় এলাকা। প্রতি কিলোমিটার ২,১৮২ জনসংখ্যার ঘনত্ব এরাজ্যে কলকাতা ও হাওড়ার পরে এটি তৃতীয় ও ভারতে ২০তম ছিল।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পুলিনবিহারী রায় জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৩ হাজার ৮১২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআই প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৪ হাজার ২৪০৷ তৃণমূল প্রার্থী পুলিনবিহারী রায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে ২৯ হাজার ৫৭২ ভোটে পরাজিত করেন।২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের মনোজকান্তি বিশ্বাসকে পরাজিত করেন।২০০৬ ও ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গাইঘাটা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের মন্মথ রায়কে দু’বারই হারিয়ে দেন। ১৯৯৬ সালে সিপিআইমের মন্মথ রায় কংগ্রেসের প্রবীর বন্দোপাধ্যায়কে এই আসনে পরাজিত করেন। তার আগে ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের প্রবীর বন্দোপাধ্যায়কে সিপিআইএমের কান্তি বিশ্বাসকে পরাজিত করেন।১৯৮৭ সালে আবার সিপিআইএমের কান্তি বিশ্বাস তাঁর প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের রাধাপ্রসাদ বিশ্বাস, কংগ্রেসের মীরা মিত্র ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের রাধাপ্রসাদ বিশ্বাসকে এই আসনে পরাজিত করেন।১৯৭১—৭২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের চণ্ডীপদ মিত্র এই আসনে জিতেছিলেন। তারও আগে ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের পারুল সাহা জেতেন।১৯৬৭ সালের নির্বাচনে সি. মিত্র এই আসনে জয়ী হন। তার আগে অবশ্য গাইঘাটা আসনটি ছিল না।