নির্বাচনের দিনে ভোট কেন্দ্রে স্যানিটাইজার দেওয়ার স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, প্রত্যাহারের দাবি জানালেন নার্সিং ছাত্রীরা। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ ছিল, ভোটের দিন যাঁরা বুথে যাবেন, তাঁদের থার্মাল চেক আপ ও স্যানিটাইজ়ার দেবেন নার্সিংয়ের পোস্ট বেসিক বিএসসি ও এমএসসির ছাত্রীরা।ভোটের এই ধরনের ডিউটি দেওয়ার প্রতিবাদ জানাল নার্সিংয়ের উচ্চ প্রশিক্ষণরত ছাত্রী নার্সদের একটি সংগঠন। শুধু প্রতিবাদই নয়, ভোটের এই ধরনের ডিউটি দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে এই সংগঠন।নার্সদের ওই সংগঠনের সম্পাদিকা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় ও সভানেত্রী পার্বতী পাল যৌথ বিবৃতিতে স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন৷ স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছে, পোস্ট বেসিক বিএসসি এবং পোস্ট বেসিক এমএসসি-র ছাত্রীদের এবার ভোটের ডিউটিতে যেতে হবে। ভোটের ডিউটির জন্য তাঁদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা নিতে যাওয়া ছাত্রীদের নির্বাচনী বুথে আসা সকলের থার্মাল চেক আপ ও স্যানিটাইজ়ার দিতে হবে। নার্সদের ওই সংগঠনের তরফে এই নির্দেশ নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়৷ তাদের মতে, থার্মাল চেক আপ এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার কাজ যে কেউ করতে পারেন৷ এর জন্য কোনও মেডিক্যাল প্রফেশনাল হওয়ার দরকার পড়ে না৷ তাহলে এই কাজের জন্য কেন নার্সিংয়ের উচ্চ প্রশিক্ষণরত এই ছাত্রীদের ব্যবহার করা হবে৷ তাদের দাবি, যোগ্যতার মাপকাঠিতে উপযুক্ত দায়িত্ব বণ্টন একদিকে যেমন যোগ্য নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে, তেমনই শ্রমশক্তির অপচয় হয় না। এর সঙ্গে সামাজিক পদমর্যাদার দিকটিও যুক্ত রয়েছে। সংগঠনের মতে, এসবের কোনওটাই বাস্তবায়িত করছে না—স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে নার্সদের এই সংগঠন। নার্সিংয়ের ছাত্রীদের এই ধরনের ভোটের ডিউটি দেওয়ার নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।