এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন দেবজিৎ সরকার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের শেখ মৈনুদ্দিন।হুগলি জেলা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক জেলা। চুঁচুড়া শহরে এই জেলার সদর দফতর রয়েছে। হুগলি জেলা চারটি মহকুমায় বিভক্ত। চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ। হুগলি জেলার বিধানসভা আসনগুলি হল - হরিপাল, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ (তফসিলি জাতি), গোঘাট(তফসিলি জাতি), খানাকুল, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড় (তফসিলি জাতি), পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি (তফসিলি জাতি), উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপাদানি, চণ্ডীতলা এবং জাঙ্গিপাড়া। বর্ধমানের দক্ষিণাংশকে বিচ্ছিন্ন করে ১৭৯৫ সালে ইংরেজরা প্রশাসনিক কারণে হুগলি জেলা তৈরি করেছিল। হাওড়া তখনও হুগলি জেলার অংশ ছিল। জেলা বলতে কতগুলি থানার সমষ্টি। মহকুমার ধারণা তখনও জন্ম নেয়নি। এই জেলার দক্ষিণাংশ নিয়ে হাওড়া স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে তৈরি দিয়েছিল ১৮৪৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ইমামবাড়া প্রাচীনকালে সুহ্ম বা দক্ষিণ রাঢ়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল হুগলি জেলা।ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি জাঙ্গিপাড়া সিডি ব্লক এবং আইন্যা, হরিপুর, মশাট, শিয়াখেলা গ্রামপঞ্চায়েতগুলি চণ্ডীতলা-১ সিডি ব্লকের অন্তর্গত। জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৭ নম্বর শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ৬ এপ্রিল জাঙ্গিপাড়ায় ভোটগ্রহণ।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৯,৩২৪৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী পবিত্র সিংরায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৫,৭১৯৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্নেহাশিস চক্রবর্তী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী পবিত্র সিংরায়কে ২৩,৬০৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।