শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার যাবতীয় সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে লেখা চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হল, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারেই কার্যকরী নয়।কী কারণে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে না, তৃণমূল সাংসদকে সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের তুলনায় এবার বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া কমদিন ধরে চলবে। গতবার ভোটপ্রক্রিয়া চলেছিল ৬৬ দিন। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ দিন। সেইসঙ্গে গতবারের তুলনায় বুথের সংখ্যা এবার ৩২ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগ করে মানুষের জমায়েত এড়াতে সকাল সাতটা থেকে ১০ টা পর্যন্ত প্রচারপর্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভোটের প্রচার শেষের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আগামী ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা পর্যন্ত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও প্রচার হবে না। তাছাড়া যাবতীয় করোনা-বিধি মেনে চলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পর্যাপ্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কমিশনের চিঠিতে ডেরেককে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের মতো বড়সড় প্রক্রিয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করা হয়। সেই কর্মযজ্ঞে সামিল থাকেন অনেকে। একইসঙ্গে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তিন দফার নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে যে ৫২ দিনের প্রচারের পাওয়া গিয়েছে বলে যুক্তি দিয়েছিলেন ডেরেক, তা বিভ্রান্তিকর। আইন মেনেও তা হবে না। কারণ নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনের ১৪ দিন পরে ভোট হতে হয়।তা প্রতিটি ভোটের জন্য প্রয়োজ্য।