এই বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। মগরাহা🔜ট পূর্ব বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন নমিতা সাহা। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী হলেন চন্দন নস্কর। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁ🎐ড়াচ্ছেন সিপিআইএমের চন্দন সাহা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। এই জেলার উত্তর দিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দ🌺ক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। মগরাহাট পূর্ব এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ৬ এপ্রিল মগরাহাট পূর্বে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী নমিতা সাহা জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৯,৪৮৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রা🅺র্থী চন্দন সাহা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৯,৯২৬৷তৃণমূল প্রার্থী নমিতা সাহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী চন্দন সাহাকে ৯,৫৬০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের নমিতা সাহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের চন্দন সাহাকে পরাজিত করেছিলেন।
২০০১ ও ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের বাঁশরীমোহন কাঞ্জি মগরাহাট পূর্ব (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের নমিতা সাহাকে তিনি পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের নির্মল সিনহা তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী নমিতা সাহাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক এই আসনে পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেসের মনোরঞ্জন হালদারকে। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের নির্মཧলকান্তি মণ্ডল ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের মনোরঞ্জন হালদারকে হারিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালে কংগ্রেসের মনোরঞ্জন হালদার এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১, ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে সিপিআইএমের রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক টানা তিনবার এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অর্ধেন্দুশেখর নস্কর মগরাহাট পূর্ব আসনে জয়ী হ🔥য়েছিলেন। ১৯৫১ ও ১৯৫৭ সালে মগরাহাট একটি যৌথ আসন ছিল। উভয় নির্বাচনে কংগ্রেসের আবদ🍨ুল হাশেম ও অর্ধেন্দু শেখর নস্কর উভয়ই মগরাহাট কেন্দ্র থেকে যৌথ আসনে জিতেছিলেন।