নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের মেরেকেটে ১৮ ঘণ্টা আগে নয়া কৌশল নিল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বলে যে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা ভোঁতা করতে সেই চ্যালেঞ্জ অস্ত্রকেই ব্যবহার করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। দাবি করলেন, মমতার থেকে ‘বড় নেতা’ নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতার থেকে শুভেন্দু ‘বড় নেতা’ কী কারণে, বুধবার ধনেখালির জনসভা থেকে সেই ব্যাখ্যাও দেন নড্ডা। নন্দীগ্রামের ভোটের আগে শেষবেলায় নড্ডা বলেন, ‘বলা হচ্ছে, মমতাজি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। মমতাজি খেলার চেষ্টা করেছেন। একটা কথা বলুন, ভবানীপুর ছেড়ে মমতা নন্দীগ্রাম এসেছেন নাকি শুভেন্দু নন্দীগ্রাম ভবানীপুরে গিয়েছিল? আপনারাই বলুন, মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের মন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করতে চলে আসেন, তাহলে বড় নেতা কে বলুন?’ নড্ডার দাবি, নন্দীগ্রামে হেরে যাবেন মমতা। সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই লড়াই তো প্রমাণ করছে, চ্যালেঞ্জ তো গ্রহণ করেছেন শুভেন্দু। লড়াই করতে এসেছেন তো মমতাদিদি। আর নন্দীগ্রামের মানুষকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে সারা বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সাফ হয়ে যাবে আর বিজেপি উঠে দাঁড়াবে।’ তারইমধ্যে প্রথম দফায় ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন নড্ডা। 'তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের' রক্তচক্ষু সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘(তৃণমূলের) খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় ৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাংলায় যেখানে মমতাদিদি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন, সেখানে এত ভোটদানের হার থেকেই স্পষ্ট যে মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে যাচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন।’