ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে জেলাজুড়ে যে হিংসাত্মক ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার সিংহভাগই তৃণমূল ঘটিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এবার খানাকুলের এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে এবার ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হলেন ওই তৃণমূল কর্মী।যদিও এই খুনের ঘটনায় তাঁদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নের্তৃত্ব।তাঁদের পাল্টা দাবি, গোটা ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দেবু প্রামানিক (৪৮)। নসিবপুরের বাসিন্দা নিহত দেবু এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন।তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে একবার দেবুকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়।সোমবার সকালে পুনরায় তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পরিবারের সদস্যদের সামনেই বাড়ি থেকে টেনে বার করা হয় তাঁকে। এর পর দেবুকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।দেবুর স্ত্রী-ছেলেরা বাধা দিতে গেলে, তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন দেবুর এক ভাইপো অসিত প্রামানিকও। এর পর গুরুতর আহত ওই কর্মীকে বাড়িতে ফেলে রেখেই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় ব্লক হাসপাতালে ভরতি করানো হলে, সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃতের ভাইপো এখনও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এদিন সকালে এই ঘটনা ঘটার পর খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। খানাকুলে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ‘দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়েই সংসার ছিল নিহত তৃণমূল কর্মীর। ছোট একটা মুদিখানা দোকান চালিয়ে তাঁর সংসার চলত। আরামবাগে ৪ টে আসন জিতেছে বিজেপি। আর গোটা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জিতেছে তৃণমূল। তৃতীয় বারের জন্য আমরা সরকার তৈরি করেছি। তাই বিজেপি এ ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।’যদিও গোটা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি-র আরামবাগ সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘এ কাজ বিজেপি করেনি। উল্টে নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের দায় বিজেপি’র ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল।’