ক্ষমতায় ফিরলে শিতলকুচি গুলিচালনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন তিনি। বুধবার মাথাভাঙায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করল বিজেপি। বুধবার দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার মনে করান ক্ষমতায় আসার পর কতগুলো তদন্ত কমিশন গড়েছেন মমতা। আর তার ফল কী। এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে নানা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করতেন মমতা। পাড়ার মোড়ে সাপ মরলেও সিবিআই সিবিআই করে চিৎকার করতেন। কিন্তু এখন ছবিটা আলাদা। এখন সিবিআই ওদের ডাকছে। এর পর তিনি মনে করান, ক্ষমতায় আসার পর মোট ১৩টি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে তৃণমূল সরকার। তার জন্য খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র ৩টি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বিধানসভায়। জয়প্রকাশবাবু মনে করান, নন্দীগ্রামে গুলিচালনার তদন্তে যার নামে চার্জশিট হয়েছিল সেই আইপিএস ২০২০ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ২১ জুলাইয়ের গুলিচালনার প্রতিবাদে শহিদ দিবস পালন করলেও সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রসচিব নিজের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন মমতা। সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড, আনন্দমার্গী হত্যাকাণ্ডের কমিশনের কোনও রিপোর্ট কোথাও জমা পড়েনি। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন রিজওয়ানুর কাণ্ডের তদন্তের উল্লেখ শোনা যায়নি জয়প্রকাশবাবুর মুখে। ওই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের অন্যতম কর্তা। কমিশন প্রশাসনের দায়িত্ব পেয়ে তাঁকে সরায়।এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে জয়প্রকাশবাবু বলেন, ‘শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত অবশ্যই হবে। মমতাকে প্রতিশ্রুতি পালন করতে গেলে ক্ষমতায় ফিরতে হবে। সেই আশা কম। বিজেপি ক্ষমতায় এসে কার প্ররোচনায় মানুষ ঘর গেরস্থালির জিনিস নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালালো তা বার করা হবে’।