ভারতীয় বক্স অফিসের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার ছবির নায়ক তিনি। একমাত্র তিনিই ২০০০ কোটির গণ্ডি ছুঁতꦯে পেরেছেন। কিন্তু গত ৬ বছরে বক্স অফিসে হিটের মুখ দেখেননি আমির খান। ঠগস অফ হিন্দুস্তান এবং লাল সিং চড্ডার ব্যর্থতা ঘিরে ধরেছে নায়ককে।
গত বছর অগস্টে মুক্তি পেয়েছিল ‘লাল সিং চড্ডা’, বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি। এই ব্যর্থতার দায়ে নিজেকে খানিক গুটিয়ে নিয়েছিলেন আমির। তবে মিস্টার পারফেকশানিস্ট ফিরছেন। লম্বা সময় লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগত থেকে দূরে থাকার পর স্বমহিমায় দেখা দেবেন তিনি। ২০০৭ সালে 🦄‘তারে জমিন পর’ তৈরি করেছিলেন আমির। সেই ছবির অনুপ্রেরণাতেই এবার তৈরি করবেন ‘সিতারে জমিন পর’। দিন কয়েক ধরেই এই জল্পনা ঘোরাফেরা করছিল বল🉐িপাড়ায়, অবশেষে নিজের মুখেই সবটা জানালেন আমির।
নিউজ ১৮-এর এক সমাবেশে যোগ দিয়ে আমির জানান, ‘আমি প্রকাশ্যে এটা নিয়ে আগে কথা বলিনি, তাই বিশেষ কিছু বলতে পারব না। কিন্তু নামটা বলতে পারি। ছবির নাম সিতারে জমিন পর। নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে তারে জমিন পর ছবির কথা। এই ছব🐼ি🦹র নাম সিতারে জমিন পর, কারণ একই থিমে তৈরি এই ছবি তারে জমিন পর-এর থেকে ১০ পা এগিয়ে রয়েছে।’ আমির আরও জানান, তারে জমিন পর এই সকলে কাঁদিয়েছে, এই ছবি সবার মুখে হাসি ফোটাবে।
ছবির নিয়ে অভিনেতা আরও বলেন, ‘এই ছবির নাম খুব ভেবেচিন্তে রাখা কারণ থিমটা প্রায় একই। আমাদের সবার মধ্যেই খামতি থাকে, তার পাশাপাশি সবার মধ্যে একটা কিছু খাস ব্যাপার থাকে। সেই ভাবনা নিয়েই এই ছবি’। তারে জমিন পর পরিচালনা করেছিꦿলেন আমির খান নিজে। ছবির কেন্দ্র ছিল ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়া ইশান অবস্তি (দরশিল সাফারি)। যে মনের রঙ দিয়ে রাঙিয়ে তুলত সাদা ক্যানভাস। ইশানের আঁকার স্যার রাম ౠশঙ্কর নিকুম্ভের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির। ১৬ বছরের ব্যবধানে উলটে যাবে গল্প। আমির বলেন, ‘৯ জন ছেলে থাকবে, তাদের সমস্যা থাকবে। আর তারা আমার চরিত্রকে সাহায্য করবে আমার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে’।
এই ছবির পরিচালকের আসনেও কি থাকবেন আমির তা অবশ্য খোলসা করেননি অভিনেতা। বাকি কাস্টিং-এও কী কী চমক থাকবে 🐷তা দেখার। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও প্রযোজক আমির সম্প্রতিই ঘোষণা করেছেন তাঁর নতুন প্রোজেক্ট ‘লাহোর ১৯৪৭’। এই ছবিতে নায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে সানি দেওল। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রাজকুমার সন্তোষি।