পুজোর প্রত্যেকটা দিন কেমন সাজবেন তা নিয়ে চিন্তায় কয়েক মাস আগে থেকেই ঘুম উড়ে যায় বাঙালি মেয়ে-বউদের। পুজোর পাঁচটা দিন নিজেকে সেরা দেখানোটা খুব জরুরি। দশমীতে উমার ঘরে ফেরার পালা, কিন্তু এদিনও মা-কে বরণ করতে হোক কিংবা সিঁদুর খেলায় অংশ নিতে পারফেক্ট সাজটা সঙ্গে থাকা খুব জরুরি। দশমীর সাজ মানেই মূলত লাল পাড় সাদা শাড়ি, এই সাজেই নিজেদের দেখতে অভ্যস্ত বঙ্গনারীরা। কিন্তু সাবেকিয়ানা বজায় রেখেও এই সাজে চলতি বছর একটু টুইস্ট আনতেই পারেন। সেই উপায়ই বাতলে দিলেন অভিনেত্রী, পরিচালক অপরাজিতা ঘোষ। লাল শাড়ি আর হালকা গোলাপি স্ট্র্যাপি টপ দশমীর সাজের জন্য বেছে নিয়েছেন অপরাজিতা। হালফিলের ফ্যাশনে ভীষণ ইন টপের সঙ্গে শাড়ি পরা। আর সেই শাড়ির সঙ্গে সাবেকি গয়নার পরিবর্তে কাপড়ের নেকপিস সাজলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে থাকল লাল রঙা হেড গিয়ার, কিছুটা ফুলের মালা লাগানোর ভঙ্গিতে সেটা চুলে বেঁধেছেন তিনি। সঙ্গে ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক আর মানানসই মেক-আপ। পুজোর সাজ মানে নিজেকে অসুবিধায় ফেলা নয়। এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে, সাফ কথা অপরাজিতার। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘পুজোয় আমরা সারাটা দিনই প্রায় বাইরে থাকি। তাই এমন পোশাক বাছতে হবে যেটা আরামের হবে। যেটা পরে আমরা খুব সহজে হাঁটাচলা, ঘোরা ফেরা করতে পারব। সাজের সঙ্গে নিজের কমফর্টটা বজায় রাখতে হবে, সঙ্গে আমাকে দেখতে ভালো লাগতে হবে। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মাথায় রাখি’। গয়না খুব বেশি পছন্দ নয় অপরাজিতার, কিন্তু ছিমছাম সাজেও কেমনভাবে নিজেকে অনন্যা প্রমাণ করা যায় সেই মন্ত্র ভালোভাবেই জানেন অভিনেত্রী। নানা রকম প্রিন্টের মিশেলের শাড়ি খুব পছন্দ অপরাজিতার, সঙ্গে শাড়ি পরবার ধরণেও এই বছর নানারকমের টুইস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। কখনও টপ, কখনও রাফলড স্লিভ জ্যাকেটকে ব্লাউজ হিসাবে পরেছেন তিনি। গত বছর করোনার জেরে পুজোয় সেভাবে আনন্দ করতে পারেননি তিনি, এবার কিন্তু সব নিয়মবিধি মেনে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। নিজেকে পুরোদস্তুর আরমাদায়ক পোশাকে এইবার সাজিয়ে তুললেন অপরাজিতা ঘোষ।