'ইচ্ছে নদী'র দৌলতে টেলিভিশনের দর্শকদের অন্যতম প্রিয় জুটি হয়ে উঠেছিলেন বিক্রম ও শো𒁃লাঙ্কি। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৮ বছর। ফের একবার এক হয়েছেন বিক্রম-শোলাঙ্কি। সৌজন্যে, নতুন ছবি ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’। সম্প্রতি এই ছবি নিয়েই এক সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
শোলাঙ্কি মনে করেন, বিভিন্ন বয়সের দর্শকরা 'ইচ্ছে নদী' দেখতেন। বহু স্কুল পড়ুয়াও ধারাবাহিকটি দেখতেন, তাঁরা এখন হয়ত কলেজে পড়েন। তাই অভিনেত্রীর আশা, তাঁরাও তাঁর আর বিক্রমের ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ ছবিটি দেখতে হলে আসবেন। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি রায় বলেন, তিনি বহুদিন ধরেই টেলিভিশনে কাজ করেছেন। 'গাঁটছড়া'র গল্পও ভালো লেগেছিল বলেই তিনি হ্যাঁ বলেছিলেন। তবে একটা সময় পরে OTT-তে সকলের বিভিন্ন কাজ দেখতে দেখতে তা𝔍ঁরও মনে হয়েছে, টেলিভিশন অনেক হল এবার তিনিও অন্যরকম কিছু ক🌄রতে চান।
আরও পড়ুন-ইউটিউব থেকে 'কোটি' আয়! ৯ জনের বাড়িতে হল আয়কর হানা, ত𝓡ালিকায় ১ জনপ্রিয় অভিনেꦇত্রী
🍸আরও পড়ুন-ভাগ্যিস সেসময় মোবাইল ছিল না, না🦂হলে আমার কত কাণ্ডই না রেকর্ড হত! বলেই ফেললেন কাজল
এখন তাঁর ছবির নায়ক, অভিনেতা বিক্রম চট্টো🦹পাধ্যায়ের সঙ্গে শোলাঙ্কির বন্ধুত্ব প্রায় ৮ বছরের। আগের বিক্রম এখ♕নকার বিক্রম কতটা আলাদা? একথায় শোলাঙ্কি বলেন, আগে বিক্রম নাকি কথায় কথায় মাথা গরম করে ফেলতেন। তবে এখন তিনি অনেকটাই পরিণত। শোলাঙ্কি বলেন, ‘আমি বিক্রমকে খেপাই, যে তোমার বয়স বেড়ে গিয়েছে।’ বিক্রমের সঙ্গে খুনসুটি, ঝগড়া, তর্কের বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে শোলাঙ্কি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে থেকে যদি এই বিষয়গুলো চলে যায়, মনে হয় একে অপরের সঙ্গে ভেবে কথা বলতে হবে, তাহলে তো আমাদের বন্ধুত্বটাই নষ্ট হয়ে যাবে! আমরা দুজনের খারাপ সময়েও একে অপরের সঙ্গে থেকেছি। ওকে আমি যা খুশি বলতে পারি, ও আমায় যা খুশি তাই বলে।’
বিক্রমকে ভোর তিনটেতেও ফোন করতে পারেন শোলাঙ্কি? একথায়, শোলাঙ্কির জবাব, ‘বিক্রম আমার থ্রি এম ফ্রেন্ড হতেই পারত, যদি সেসময় ও আমার ফোন ধরত! ও তো তখন 🌌ঘুমিয়েই কাদা। বিক্রম আমার থ্রি এম বা ২ এম ফ্রেন্ড নন ঠিকই, তবে কাজে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োজনে বিক🐓্রমকে পাশে পেয়েছি।’
‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ ছবিতে ত্রিকোণ প্রেমের আভাস রয়েছে, ব্যক্তিগত জীবনেও শোলাঙ্কির হয়তবা এমন ঘটনা ঘটেছে। তাহলে কি ছবির 'অনিন্দিতা' শোলাঙ্কির মতো করে বিষয়টা সামলেছেন? একথায় শোলাঙ্কি বলেন, ঠিক উল্টোটা, বরং শোলাঙ্কি যদি অনিন্দিতার মতো করে সামলাতে পারতেন, তাহলে হয়ত ভালো থাকতেন। প্রসঙ্গক্রমে শোলাঙ্কি বলেন, তাঁর মাথার আগে মন কাজ করে, আবেগ, আর হৃদয় কাজ করে, তাই অনেকসময় উচিত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে উঠতে পারেন ন🐈া। তবে আগের থেকে এখন নিজের 'ইমপালসিভ' (আবেগপ্রবণ) প্রকৃতি অনেকটাই সামলাতে পেরেছেন।