দিনটা ছিল ১৬ মার্চ। ওইদিনই ছিল কবীর সুমনের জন্মদিন। সেদিন এক সাক্ষাৎকারে সুমন বলে বসেন, ৭৫ বছর বয়সেও তিনি বিছানায় চ়ড়ান্ত সক্ষম। কবীর সুমনের কথায় নারীরাই তাঁকে সম্বৃদ্ধ করেছে। কবীর সুমনের দাবি মতো তাঁর ‘অফুরান এনার্জির রহস্য’𝓡 হল, 'কাম! মুক্ত কাম! আর যেখানে অশ্লীলতাই সব।' তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই কবীর সুমনের উপর ফুঁসে ওঠেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর কথায়, এই একই কথা মেয়েরা বললে তো এতক্ষণে ছিঃ ছিঃ পড়ে যেত। আর এবার তসলিমার কথাতে সম্মতি প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও।
শ্রীলেখা মিত্র এক সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনিও তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে সহমত। শ্রীলেখার কথায়, ꦿতিনি নিজের জন্মদিনে নিজের পছন্দের পানীয় পান করেছি বলে যা খুশি তাই বলা হয়েছে। শ্রীলেখার কথায়, ‘এক মহিলা তো এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বসলেন। আসলে আমরা হাফবেকড।’
শ্রীলেখার দাবি, ‘সক্ষম থাকা ভালো, তাতে শরীর ভালো থাকে। তবে এটাও ঠিক একই কথা কোনও মহিলা বললে সমাজ তাঁকে ছাড়বে🥂 না। মহিলা বললে, হয়ত শুধু তাঁকে রেপ করতে বাকি রাখত! আমরা আসলে সঠিক শিক্ষাই পাইনি। আসলে মহꦜিলারাই মহিলাদের ছোট করেন। মেয়েদেরও কিছু দায় বর্তায়, নিজেদেরই সমতা বজায় রাখতে হবে।’
আ꧟রও পড়ুন-'এখনও বিছান𒁃ায় সক্ষম', কবীর সুমনের কথায় তসলিমার ক্ষোভ, ‘ওঁকে আমি মুসলমান বলি না’
প্রসঙ্গত কবীর সুমনের মন্তব্যের ঠিক পরপরই ফেসবুকে তাঁকে তুলোধনা করেছিলেন তসলিমা। কবীর সুমনকে 'হিপোক্রেট সুমন' বলেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেছিলেন তিনি সুমনকে মুসলমান বলে মানেন না। সুমনকে স্বার্থান্বেষী বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তসলিমা। বলেন, ‘যদি দেখেন আঘোরি বা নাঙ্গা সন্ন্যাসী সাজলে কিছু ফায়দা হবে, বা লোককে বোকা বানি🔯য়ে মজা লোটা যাবে, তিনি তাই করবেন।’
পরে ফের লিঙ্গ বৈষম্যের কথা তুলে তসলিমা লেখেন, 'একজন অশীতিপর নཧারী যদি তুড়ি বাজিয়ে বলেন, আমার যৌনক্ষ𝕴মতা বেশ আছে, আমি খুবই যৌনসক্ষম', তাহলে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজে কী কাণ্ড হবে ভাবলে গা শিউরে ওঠে।' আর এবার তসলিমা নাসরিনের সেই কথাতেই সহমত পোষণ করলেন শ্রীলেখা।