সোমবার পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোট হয়েছে মুম্বইতে। বলি তারকারাও ওইদিন যে যার নিজের ভোট দিতে পৌঁছেছিলেন নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সলমন খান, অক্ষয় কুমার, রণবীর কাপুর সহ বহু তারকা ওইদিন ভোট দিয়েছেন। এমনকি ভোট দিতে গিꦡয়েছিলেন দুই হবু মা, একজন দীপিকা পাড়ুকোন, অন্যজন বরুণ ধাওয়ানের স্ত্রী নাতাশা দালাল।
তবে রণবীর ভোট দিতে গেলেও দেখা যায়নি আলিয়া ভাটকে। আর তা নিয়েই নেটপাড়ায় চর্চা শুরু হয়। অনেকেই হয়ত জানেন না, আলিয়া এখনও ভারতীয় নাগরিক নন।ꩲ তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। এমনকি তাঁর ব্রিটিশ পাসপোর্টও রয়েছে। আর তাই বহু নেটনাগরিক আলিয়ার ভোট না দেওয়া, এবং নাগরিকত্ত্ব নিয়ে নানান মন্তব্য করতে শুরু করেন।
এদিকে রণবীর ঘরণীর নাগরিকত্ত্বনিয়ে যখন চর্চা চলছে, তখনই ইনস্টাস্টোরিতে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন আಞলিয়া। অভিনেত্রী লেখেন, ‘ভালোবাসা। এখানে কোনও তর্ক কাজ করে না। এটা যতই শক্ত🎉িশালী হোক না কেন, এই শব্দটা সবকিছুকে ছাপিয়ে যেতে পারে।’ নিজের পোস্টর সঙ্গে 'দ্য গুড ওয়ার্ড' হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও আলিয়ার এই পোস্টের সঙ্গে তাঁর নাগরিকত্ত্ব নিয়ে চলা বিতর্কে কোনও সম্পর্ক আছে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।
এদিকে বেশকিছুদিন আগে আলিয়া তাঁর হলিউড ডেবিউ ফিল্ম 'হার্ট অফ স্টোন'-এর প্রচার করাকালীন সহ-অভিনেতা গ্যাল গ্যাডট🍌 এবং জেমি ডরনানকে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। যেখানে উঠে আসে আলিয়া সম্পর্কে সর্বাধিক গুগল করা প্রশ্নটি।
যেগুলির মধ্যে একটা ছিল, ‘আলিয়া ভাট কি ব্রিটিশ?’ গাল গ্যাডট একথা আলিয়াকে প্রশ্ন করেন, তখন তাঁর উত্তর ছিল, ‘ হ্যাঁ, আমিও আপনাদের মতোই ব্র☂িটিশ। আমার দিদা ইংল্যান্ডেই থাকতেন, আমার মায়ের জন্ম বার্মিংহামে, কিন্তু আমি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এখানেই বড় হয়েছি।’ গ্যাল গ্যাডট আলিয়াকে ফের জিগ্গেস করেন, ‘ তাহলে আপনার মা আপনার সঙ্গে সবসময় ব্রিটিশ ইংরেজিতেই কথা বলেন?’, আলিয়া উত্তরে বলেন, ‘না আমার দিদা সারাজীবন ইংল্যান্ডে থেকেছেন, তাই উনি ব্রিটিশ ইংলিশ উচ্চারণেই কথা বলেন, তবে মায়ের সেটা নয়।’
আলিয়ার ইন্টারভিউটি দেখুন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে…
এর আগে, আলিয়ার মা সোনি রাজদান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় ভারতেই কাটিয়েছেন। সোনি রাজদান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছি কিন্তু যখন আমার বয়স তিন মাস, আমি বম্বেতে চলে আসি। আমার মা আমার জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট এনেছিলেন। আমরা দক্ষিণ বম্বেতে থাকতাম এবং আমি বম্বে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করি। আমার বাবা-মাই সেখানে ভর্তি করেন। আমার পাসপোর্টের প্রশ্ন যদি ওঠে, তাহলে আমি বলব, সেটা অন্যকেউ কে ঠিক🌜 করে দেবে, যেএবিষ🌠য়ে আমার কী করা উচিত? এই বিশ্বের নাগরিক হিসাবে আমি কোন পাসপোর্ট রাখব সেটা আমিই ঠিক করব। এক্ষেত্রে আমার পছন্দই অধিকার পাবে।’