একসময় সিনেমার পর্দায় শিশুশিল্পী হিসাবেই অরিত্র দত্ত বণিককে চিনেছিলেন দর্শকরা। এখন যদিও অভিনয় থেকে দূরে, বরং সোশ্যাল মিডিয়াতেই অরিত্রর উজ্জ্বল উপস্থিতি। তবে টলিউড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি অরিত্র। বরং ক্যামেরার পিছনে কাজ করেন তিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অরিত্র সমাজের নানান বিষয় নিয়ে বরাবরই সরব হন। সামজ, রাজনীতি, দেশের আইন ব্য়বস্থা- সবকিছু নিয়েই ফেসবুকে খোলা মনে মতামত রাখেন অরিত্র। আরজি কর কাণ্ডের পরও নানান বিষয় 🦩নিয়েই নিজের মতামত তুলে ধরেছেন তিনি।
এদিকে ৭ অগস্ট সোমবার ফেসবুকে কিছু ভিডিয়ো পোস্ট করে অরিত্র অভিযোগ করেন, কিছু দুষ্কৃতী তাঁরা বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাঁদের দাবি ছিল, অরিত্র নাকি বিজেপি করেন। নিজের পোস্ট করা ভিডিয়োতে দুষ্কৃতীদের সামনে মায়ের কাঁদো কাঁদো ভিডিয়োও পোস্♕ট করেছিলেন অরিত্র। এরপর ঘটনার CCTV ফুটেজ পোস্ট করে ফের একবার বাড়িতে হামলার বিষয় নিয়ে সরꦆব হলেন অরিত্র দত্ত বণিক।
৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার অরিত্র লিখেছেন, 'সিসিটিভি: আমার মা'কে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আপনি ভাবতেই পারছেননা আপনি কী বিপদে পড়বেন, আপনি এইখানেই থাকবেন কি বিপদে পড়বে📖ন ভাবতে পারছেননা। আপনার ছেলের নামে বদনাম আছে, আপনার ছেলে বিজেপি করে। এই দিয়ে শুরু করে কোর্টের বেইলিফ ও এডভোকেটকে থ্রেট দেওয়া হয়েছিলো, পুরো একঘণ্টার অত্যাচ্যারের সিসিটিভি ফুটেজ আমার হাতে আছে, লোকাল থানায় চলে গিয়েছে। তৃণমূলের পিন্টুরা জানেনা যে আমার ২০১৪ সাল থেকে বদনাম আছে, কারণ হাইস্কুল থেকে ঘাপলা বিরোধী কাজ করে আসছি। এখনো আমি মামলার পার্টি নই মা আদালতে একা লড়ছেন, আমি ইন্টারজেক্ট করে মামলায় ঢুকে গেলে ওঁদের কাঁদিয়ে ছাড়বো সেটা ওঁরা বুঝতে পারছেনা। ইতিমধ্যেই লোকাল থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ নিজে এই থ্রেটের বিরুদ্ধে কগ্নিজেন্স নিয়ে নিয়েছেন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে ফেলেছেন। কারণ পুলিশ বিভাগ জানেন যে আমি মাঠে নামলেই বিপদ। পিন্টুরা পার্টি অফিসের হিরো হলে আমিও আদালতের হিরো।'
অরিত্র ফ𒀰ের লিখেছেন, ‘যতদিন বেঁচে আছি ঘাপলা বিরোধী মুভমেন্ট চালিয়ে যাবো তার জন্যে সিপিএম তৃণমূল বা বিজেপির 🏅মেম্বার আমাকে হতে হবেনা। সমস্ত রেকর্ডিং পুলিশের হেড অফিস, তৃণমূলের হেড অফিসে হাজির হয়ে যাবে আস্তে আস্তে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার বাড়িতে হামলার ঘটনার কিছু বিস্ফোরক ভিডিয়ো পোস্ট করে অরিত্র দত্ত বণিক লিখেছিলেন, 'আমি নাকি বিজেপি করি, তাই আমার অবর্তমানে আক্রমণ করা হলো আমার বাড়ির একটি ঘর, দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি দখল করে বসে ছিলো কিছু বে-আইনি পাবলিক। রাতভর মদ্যপান চলতো, শুরু হয়েছিলো সিন্ডিকেট অফিস। কোনো অনুমতি নেই কাগজ নেই শুধু থ্রেট আছে। আমরা উচ্ছেদের মামলা করি মামলায় আমরা জয়ী হই। আদালতের নির্দেশে জবরদখলকারীদের বের করে সেই ঘরের মালিকানা আমাদের দিতে আসে আদালতের বেইলিফ। কিন্তু আদালত অমান্য করে আজ আক্রমণ হলো। আমার মা'কে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলা হয়েছে রাতের ঘুম তুলে নেওয়া হবে, তৃণমূলের নামে বেপাড়ার গুন্ডাদের উপদ্রব শুরু আমার বাড়িতে। এর পরের উত্তরটা আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে নেবো। অফিস থেকে দ্রুত বাড়ি পৌছে গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করছি। আপাতর দিলাম বেপাড়ার পিন্টুর আমার মাকে ধমক দিচ্ছেন তার ভিডিও ক্লিপ। আমার মা ক্রন্দনরত হাতে পায় ধরছেন ক্রিমিনালের।' আর এরপর আবারও মঙ্গল🧸বার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন অরিত্র।