অভিনয় থেকে রাজনীতিতে পা রাখা, এ আর নতুন কী! বলিউড থেকে দক্ষিণী ছবির দুনিয়া, এমনকি এই বাংলাতেও এ ছবি বড়ই চেনা। গত ৮ মাস আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা থলপতি বিজয়। আর রবিবার নিজের দলের সমর্থনে প্রথম জনসভা করলেন বিজয়। আর প্রথম জনসভাতেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন দলের লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার কথা। জানিয়েছেন, দ্রাবিড় আন্দোলনের পুরোধা রামস্বামী পেরিয়ারের আদর্শ-ই মেনে ♓চলবে তাঁর দল। পাশপাশি সব মানুষের রাজনৈতিক বিশ্🅘বাসকে মেনে চলার কথাও জানিয়েছেন বিজয়।
বিজয় তাঁর দলের নাম রেখেছেন ‘তামিলাগা ভেটরি কাজ়াগম’ (TVK)। রবিবার তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরম জেলায় TVK-র সভা ছিল। এদিন বিজয়ের বক্তব্য শুনতে কয়েক লক্ষ মানুষ সভাস্থলে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। থলপতি বিজয়ের সেই সভা পর🐬ই ‘ফিল্𝓡মস্টার-রাজনীতিবিদ’ ঠিক কেমন হয় তা নিয়ে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার অরিত্র দত্ত বণিক।
ঠিক কী লিখেছেন অরিত্র?
থলপতি বিজয়ের সভা থেকে একটুকরো ছবি পোস্ট করে অরিত্র লেখেন, ‘ফিল্মস্টার রাজনীতিবিদ আসলে কেমন হওয়া উচিৎ একেবারে আজ (রবিবার) পেলাম তার সাম্প্রতিক উদাহরণ। লাখ লাখ মানুষের সমাগম, মাইকে ঘোষণা হচ্ছে, মঞ্চে আসছে...জননেতা…থালাপাথি, চিৎকার, সিটি, করতালি, কনভয় থেকে নামলেন সিনেমার সুপারস্টার থালাপাথি, পাশের সিকিউরিটি সরে গেলো, লাখ লাখ মানুষের সেলাম আর করতালির মাঝে হেটে স্টেজে উঠছেন Vijay Thalapathy. মাইক হাতে নিলেন, Debut Speech। একটাও ফালতু কথা নয়, উঠেই মাইক নিয়ে মানুষকে বোঝালেন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার নিজস্ব দ্রাবিড় ভারতের দর্শন, তিনি তার রাজ্যকে কীভাবে দেখেন, আগামীতে কীভাবে দেখতে চান, কী কী পলিসি ভাবছেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সিট শেয়ারিং স্ট্রাটেজি নিয়ে কী ভাবছেন। জনসমাবেশ থেকে মানুষ সত্যিকারের কিছু ভ꧑াবনাচিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। ভারতের ইতিহাসে থালাপাথি পপুলার পলিটিক্সে বড় ছাপ ফেলবেন। সত্যিকারের সেলিব্রিটি রাজনীতিবিদদের নিয়ে আগ্রহী হলে অবশ্যই শুনুন আজকের থালাপাথির ভাষন। বিশেষত বাংলার সেলিব্রিটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দেখতে বলবো ও শেখার চেষ্টা করতে বলবো।’
আরও পড়ুন-র𒊎াজ-শুভশ্রীর ব🃏াড়িতে মধ্যহ্নভোজের আমন্ত্রণে বলিউডের ‘পরিণীতা’, মেনুতে কী?
আরও পড়ুন-অভিনেতা-রাজনীতিবিদের সঙ্গে পর্নস্টারের তুলনা! গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় 𒀰'বং গাই' কিরণ দত্ত
সবশেষে অরিত্র লেখেন, ‘রাꦓজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা আপনার হতে পারে কিন্তু লিডারশীপ ও কমিউনিকেশন দেখার জন্যে আজকের ডেবিউ স্পিচ শোনার জন্যে রেকমেন্ড করলাম।’
প্রসঙ্গত, অরিত্র দত্ত বণিকের কথাতেই স্পষ্ট থলপতি বিজয়ের ভাষণে বেশ মজেছে তাঁর। তবে অরিত্রর এই পোস্টের নিচে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘হ্যাঁ সে নাহয় শুনলাম কিন্তু উনি তামিল ভাষাতে বলেছেন তো, স꧑েটাকে অনুবাদ করে দেবে কে! যদি সেটাকে অনুবাদ করা যায় তাহলে সবিস্তারে খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারা যাবে।’
কেউ আবার মজা করে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় রাজনীতিতে আমার প্র𝓰িয় ভাই অরিত্রের মত মানুষের প্রয়োজন। যে অন্তত খুব ভালো করে পড়াশোনা করে তারপর রাজনীতি নিয়ে বলে। এমন মানুষ কম দেখা যায় আমার ভাইয়ের মতো যে এত ইনফরমেশন সংগ্রহ করে তারপর বিতর্কে অংশ নেয় তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন ভাই এইভাবে এগিয়ে চলো, যে দলের হয়েই কাজ করুক না কেন Aritra Dutta Banik সেই দলেরই সম্পদ হবে।’ কেউ আবার বাংলার অভিনেতা-রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে লিখেছেন, ‘এখানে সব অভিনেতা-অভিনেত্রী🔯 তো টাকা চুরি, আত্মসাৎ, পাওয়ার এসবের আশায় রাজনীতি করেন। এবং রাজনীতিটা মুখ্য, অভিনয় গৌণ’। কারোর কটাক্ষ, ‘বাংলার সেলিব্রিটিরা আগে অভিনয়টা ভালো করে শিখুক, তারপর না হয় রাজনীতিটা শিখবে’। কেউ লিখেছেন, ‘আমাদের কাছে আছে আমাদের দেবদা’। কারোর মন্তব্য, ‘চটিতে গু থাকে থালায় থাকেনা সিম্পল’। এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।