বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেকাল আর একালের অনেক 𝓀পার্থক্য। তবুও বেশকিছু ক্ষেত্রে সমস্যা একই থেকে গিয়েছে। সম্প্রতি সেসব নিয়েই নানান কথা উঠে এল বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আশা পারেখ ও তনুজার কꦏথাবার্তায়। যার মধ্যে রয়েছে বয়স, বেতন, ও স্যানিটাইজেশন অর্থাৎ স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থা।
আলোচনায় আশা পারেখ ও তনুজা দুজনেই একটি বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন, যে নারী-পুরুষে পারিশ্রমিক নিয়ে সমতা বলিউডে তাঁদের সময়ও ছিল না, এখনও নেই। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চিরকালই পুরুষদের বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। যে সমস্য়া হলিউডেও রয়েছে। এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা পুরুষদের দোষ দিতে পারি না, কারণ, আমরাই তাঁদের হাতে শাসনের অধি✤কার তুলে দিয়েছি।’
তাঁদের সময় ছবির সেটে স্যানিটাইজেশনের সমস্যা ছিল, এবিষয়ে বর্ষীয়ান দুই অভিনেত্রীই সহমত প্রকাশ করেন। আশা পারেখ বলেন, ‘আম🥂রা তখন বলতেও লজ্জা পেতাম যে কোনোও বাথরুম নেই। আধুনিক স্টুডিওগুলিতে প্রত্যেকের জন্য একটিই বাথরুম থাকত এবং আর সেগুলির অবস্থা ছিল ভয়ঙ্কর। আমরা স⭕কাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকতাম, বাথরুমে যেতাম না।’ কথাপ্রসঙ্গে তনুজা বলেন, 'মহিলারা আজকের দিনে অন্তত স্বাস্থ্যবিধি সম্মত ব্যবস্থার অভাব থাকলে তা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। আজ মহিলাদের শৌচালয় নিয়ে আলোচনার যে ধরনের স্বাধীনতা আছে আমাদের সময় তা ছিল না। আমাদের সময়ে, এইভাবে শেখানো হয়েছে যে এটা নিয়ে কথা বলা যায় না।'
আর❀ও পড়ুন-গরমে অতিষ্ঠ! কলকাতার মেয়র সহ একাধিক জনকে ট্য🐟াগ করে বিশেষ প্রস্তাব লোপামুদ্রার
প্রসঙ্গতক্রমে আশা পারেখ বলꦯেন, ‘তবে এখনও যে শৌচালয় নিয়ে পরিস্থিতি পুরোটা বদলেছে তা নয়। এখনও কিছু স্টুডিওতে ঠিকঠাক শৌচালয় নেই।’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আমাজন প্রাইম ভিডিয়ো ইন্ডিয়াꦕর দায়িত্বে থাকা অপর্ণা পুরোহিত। তিনি সহকারী পরিচালক হিসাবে নিজের একটি ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানান।
অপর্ণা বলেন, ‘একবার আমি একটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করছিলাম। সেদলে আমি ও এক অভিনেত্রীই শুধু মহিলা ছিলাম। এলাহাবাদের বাইরে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে শুটিং চলছিল। সেখানে আমাদের ভ্যানিটি ভ্যান নিয়ে যেতে পারিনি। অল্প বাজেটের একটা ছবি ছিল। আমরা যখন সেখানে পৌঁছলাম, প্রযোজনা সংস্থার সদস্যদের জিজ্ঞেস করলাম, অভিনেত্রী কোথায় পোশাক বদলাবে? ওরা বললো, ক্ষেত আছে, যে কোনো জায়গায় যেতেꦦ পারেন, এখানে কেউ নেই। এদিকে আশেপাশের গ্রামের লোকজন শ্যুটিং হচ্ছে জেনে তা দেখতে ট্রাক বোঝাই করে লোক এসেছিল। এরপর যখন অভিনেত্রীকে পোশাক বদলাতে হবে, ওঁরা বলল, আমরা দু’জন লোক ডাকব, যাঁরা চারিদিক দিয়ে শাড়ি ধরবে, ওর মধ্যে পোশাক বদে নিতে পারবেন। সারাদিন এভাবেই কাটল। এরপর আমি বিরক্ত হয়ে জেদ ধরলাম, যেভাবেই হোক টয়লেটের ব্যবস্থা করুন নাহলে সেটে আসব না। আমাদেরকে ঝগড়ুটে বলা হল।বলা হল, যে মহিলারা উপদ্রব, অকারণ ঝামেলা, তাই মহিলাদের বাইরে তাঁরা নিয়ে আসেন না।'