বৃহস্পতিবার আশিস বিদ্যার্থীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে হইচই বিনোদন জগতে। ৬০ বছর বয়সী অভিনেতার দু-নম্বর বার সাত পাক ঘোরা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়াও। অনেকের মনেই প্রশ্ন শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ের সঙ্গেಞ কবে ডিভোর্স হল অভিনেতার? সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে রাজোশির (ওরফে পিলু) নামের এখনও জ্বলজ্বল করছে বিদ্যার্থী পদবি। ২২ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনে কবে ইতি টানলেন রাজোশি আর আশিস? সবটা নিয়েই ছিল ধোঁয়াশা। রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে আশিসের দ্বিতীয় বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তাও দেন রাজোশি। বিচ্ছেদ আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অবশেষে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধি স্নেহা বিশ্বাসের সামনে মুখ খুললেন অভিনেত্রী-গায়িকা তথা প্রাক্তন আরজে রাজোশি।
ডিভোর্সের বিষয়টা গোপন রাখা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনবোধ🌸 হয়নি ঢাক পিটিয়ে বিচ্ছেদটা ঘোষণা করবার। এইসব পিআর আমাদের পোষায় না। আমরা খুব ভালো বন্ধু, এখনও পর্যন্ত সেটা বজায় রেখেছি। (আশিসের সঙ্গে কাটানো) ২২ বছরটা আমার জীবনের সেরা পর্ব। আমি নিশ্চিত আশিসকে প্রশ্ন করলেও আপনি একই উত্তর পাবেন’।
প্রাক্তন স্বামীর প্রসংশা করে শকুন্তলা কন্যা বলেন, ‘আশিস একজন দুর্দান্ত জীবনসঙ্গী, আমরা একসঙ্গে অনেক ঘুরেছি। আমাদের ভালোলাগাগুলো একইরকমꦚ𒐪। নিঃসন্দেহে কিছুক্ষেত্রে তো দু’জন মানুষের চয়েজ আলাদা হবে, কিন্তু আমাদের কখনও ঝগড়া হয়নি। কারণ ভিতর থেকে আমরা একইরকম মানুষ। আমাদের একটা সুন্দর সন্তান রয়েছে… আর কী'।
এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকের টেক্সাসের অস্টিনে কর্মরত আশিস-রাজোশির একমাত্র পুত্র আর্থ। ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলার পদস্থ অধিকারি। ছেলের বেড়ে ওঠায় আশিসের অবদান বেশি, অকপটে মেনে নিলেন রাজোশি। জানালেন, ‘বাবাই ছেলের ফ্রেন্ড আর গাইউ। লোকজন বলে মায়েরা সন্তানের জন্য বেশি আত্মত্যাগ করে। এটাই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, পর্দায়ও সেটাই উঠে 💞আসে। সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবার ভূমিকা অনস্বীকার্য’। বাবা-মা'র পথ আলাদা হওয়াটা সংবেদনশীল আর্থ সঠিকভাবেই বুঝতে পেরেছে জানান আশিসের প্রাক্তন স্ত্রী।
আরও পড়ুন-আশিস আর রাজোশির কি ঝগড়া হত? প্রাক্ত𓆏ন জামাইয়ের বি🌱য়ের খবরে কতটা অবাক শকুন্তলা বড়ুয়া
প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর সামনে ꧃আসবার পর থেকেই সোশꦑ্যাল মিডিয়ায় নানান আলোচনা, মুচমুচে গল্পের ছড়াছড়ি। কিন্তু কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল এই ‘হ্যাপি কপল’-এর মধ্যে? বিয়েটা কেন ভাঙল? রাজোশির সটান জবাব, ‘হয়ত এটা আগে থেকেই ছিল আমি উপলব্ধি করতে পারিনি, কিংবা হয়ত বুঝিয়ে বলতে পারিনি। আমার সন্তান বড় হওয়ার পর বিদেশে চলে গেল। শিল্পী হিসাবে আমি সেটা করতে চেয়েছি তা আমার মন চেয়েছে, আমাকে কেউ আটকায়নি। কিন্তু যখন আমি নিজেকে আবিষ্কার করা শুরু করলাম, আমি নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলো বুঝতে পারলাম। সেই সময় আমি বুঝলাম আমাদের ভবিষ্যতের পথটা আলাদা। ওর অধিকার রয়েছে নিজের স্বপ্নপূরণ করার, যা কিছু ও চায়’। খানিক থেকে অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘আমরা দাম্পত্য সম্পর্কে কম্পোপ্রাইজ করার কথা প্রায়ই শুনি। লোকে করেও, সকলে করে। কিন্তু বন্ধ দরজার পিছনে কী হয় তা কেউ জানে না। কেউ মানিসকভাবে বা শারীরবৃত্তীয়ভাবে কতটা কম্প্রোমাইজ করছে, সেটার হিসাবে কেউ রাখে না। আমি ওইভাবে বাঁচতে পারব না। ওর চাওয়া আর আমার চাওয়াটা এক ছিল না, দাম্পত্য সম্পর্কে থেকে সেটা মানিয়ে নেওয়া যায় না। তবে আমি এমন মানুষদের চিনি যারা সেটা মানিয়ে নেয়। আমি তাদের ভুল বলছি না, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যা দেখি সেটা কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।’
বিয়ে ভাঙা নিয়ে এরপর রাজোশি বলেন, ‘না আমার উপর কোনওরকম টর্চার করা হয়নি, কোনওরকম কষ্ট দেওয়া হয়নি যেমনটা লোকজন বলছে। আমরা আলাদা মানুষ। দু-বছর ধরে আমরা আলাদা পথে হাঁটার চেষ্ট করছি, আর এখন ও কেরিয়ারের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত জীবনে এখন অন্যরকম চাহিদা🐟 রয়েছে, আমি এখন মিস্টার বিদ্যার্থীর লক্ষ্য পূরণ করতে পারব না’।
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে আশিসকে পাশে পেয়েছেন বলেই জানালেন রাজোশি। মিউচুয়াল ডিভোর♓্সে কোনও সমস্যা সামনে আসেনি। গত বছর অক্টোবর মাসে বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বলে জানান তিনি। প্রাক্তনের পক্ষে সওয়াল করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যারা ভাবছে আশিস দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলেই উঠেপড়ে লেগেছিল, তারা ভুল ভাবছে। এটা মিথ্যা গল্প। আশিস কোনওদিন আমাকে ধোকা দেয়নি’।
প্রাক্তন স্বামী দ্বিতীয় বিয়ের পথে হাঁটলেও তিনি আর ছাদনাতলায় যাচ্ছেন না, স্পষ্ট বললেন রাজোশি। অকপটে বললেন, ‘আমার বিয়ের দরকার নেই, তাই আর বিয়ে করছি না। আমার বিয়ের দরকার হলে আমিও করতাম। ওটা আমার চাহিদা নয়, ওর পার্টনারের প্রয়োজন ছিল। একজন পুরুষকে তো ফাঁসি দেওয়া যায় না তাঁর চাহিদা পূরণের চেষ্টার জন্য। তাই না? আমি খুশি 🦩যে ও মনের মতো সঙ্গী পেয়েছে’।
সবশেষে রাজোশি বললেন, ‘আমি জীবনের লম্বা সময় শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে আর আশিস বিদ্যার্থীর স্ত্রী হিসাবে কাটিয়ে🍨ছি। এবার সময় এসেছে একা পথচলার। আমি নিজের পরি♑চিতি গড়তে চাই। এটাও স্পষ্ট করেদি, ও কিন্তু কখনও আমার পরিচিতিকে পিষে দিতে চায়নি। আমি শুধু সময়ের সঙ্গে উপলব্ধি করেছি ও নিজের ভবিষ্যতটা একরকম দেখছে আর আমি অন্যরকম’।