ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। বাংলাদেশের একাংশের মানুষজন অবশ্য এটাকে দেশবাসীর পাওয়া নতুন স্বাধীনতা হিসাবে দাবি করছেন। এপার এবং ওপার বাংলার বহু তারকাই ম🎉হম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া অন্তর্ববর্তী সরকারকে শুভেচ্𝓀ছা জানিয়েছেন। তবে মহম্মদ ইউনুসের শপথ গ্রহণের দিনই ধর্মীয় বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
মহম্মদ ইউনুস ও বাকি সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলে জ্যোতিকা নিজের ফেসবুকের পাতায় লেখেন, 'শুভ দিন! নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ঙ্কর কটা দিনের পর, বাক স্বাধীনতার প্রথম দিনꦇে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন শুরু করলাম!
গতকাল সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কোরা❀ন থেকে পাঠ হলো, অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় সেসব অনুষ্ঠানে কোরান, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকেও পাঠ করা হয়।এটাই আমরা দেখে আসছি সারাজীবন। ব্যক্তিগতভাবে আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রয়োজনীয়তা দেখিনা। গতকালের শপথ অনুষ্ঠানে কোরান ছাড়া বাকি ধর্মগ্রন্থগুলো বাদ দেওয়া হলো কীসের ভিত্তিতে? কী উদ্দেশ্যে?'
জ্যোতিকার কথায়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলোনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করলো বৈষম্য দিয়ে! যেকোন সরকারের ꦆমেয়াদ নꦗির্ধারিত থাকে। অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের মেয়াদ কতোদিন? সেটা জানানো হচ্ছে না কেন? কবে জানব আমরা?’
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়েও ফেসবুকের পাতায় সরব হয়েছেন জ্যোতিকা। তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে হিনཧ্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের খতিয়ান। শুধু তাই নয় জ্যোতিকাকেও নানানভাবে হুমকির মুখে পড়তে হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁকে কীভাবে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, সে🏅বিষয়টিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন জ্যোতিকা। ক্যাপশানে দিয়েছিলেন, ‘আমাদের নতুন বাংলাদেশে আমাকে নিবেদিত পংক্তিমালা!’
নিজের দেশে তিনি নিজে হুমকির মুখে পড়ার পরও অবশ্য বাংলাদেশে হওয়া হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে চুপ করে থাকেননি জ্যোতিকা। শনিবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের খতিয়ান তিনি নিজের ফেসবুকের পাতায় তুলে ধরেছেন। লিখেছেন, ‘এই হলো ইতিহাস! গত কয়েকদিনে নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হিন্দু জনগোষ্ঠীর ক্ষয়ক্ষতির কিছু তথ্য। সারাদেশে 💞বিক্ষোভে নেমেছে হিন্দুরা। যার যা আছে তাই নিয়ে যোগ দিন, সংঘবদ্ধ হোন। প্রতিবাদ করুন। ভয় নিয়ে বেঁচে থাকার কোন মানে নেই।এদেশ সবার। নিজের অধিকার আদায় করুন।’
প্র🦄সঙ্গত, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ছাড়ার পর Hindustan Time Bangla-র কাছে মুখ খুলেছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। সেদিনও নিজের দেশের পরিস্থিতিতে ফোনেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন জ্যোতিকা। তাঁর আফসোস ছিল, ‘দেশটা হয়ত ৭১’-এর 💧স্বাধীনতার জন্য তৈরিই ছিল না।