রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে বিজেপি-তে। গেরুয়া শিবির থেকে দূরে সরেছেন পরাজিত তারকা প্রার্থী। দলের কোনও কোনও তারকা আবার রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একে একে দল ছেড়ে বেড়িয়েছেন অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুপা। শুধু বেরোননি বাম আয়োজিত শ্রমজীবী ক্যান্টিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গেছিল🌼 তাঁদের। তা দেখে নেটমাধ্যম থেকে শুরু করে বাম দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা ক্ষোভও উগরে দিয়েছে। জলঘোলা হয়েছে বিস্তর।
পাশাপাশি পশ্চিম বেহালা থেকে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে শুভেচ🃏্ছা পেয়ে আপ্লুত তি💙নি। এখানেই শেষ নয়। বিজেপির আরও দুই পরাজিত তারকা তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং পার্নো মিত্রও আপাতত রাজনীতি করবেন না বলেই জানিয়েছিলেন। কেরিয়ারেই মন দিয়েছেন তাঁরা। এবার গেরুয়া শিবিরে 'অন্যরকম সুর' শোনা গেল রিমঝিম মিত্রের গলাতেও।
এবার রাজ্য বিজেপি তারকা কর্মী রিমঝিম মিত্রের গলায় শোনা গেল বিদ্রোহী সুর। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না রেখে তিনি বললেন, 'বন্ধুরা অনেকে তৃণমূলে গেছেন, আমাকেও ভাবতে হবে'। তবে পাশাপাশি এও বলেন, 'যখন কোনও দল করতে এসেছি, নিশ্চয়ই তার চিন্তাধারায় বিশ্বাস করি'।তাঁর অভিযোগ, দলে তিনি যোগ্য সম্মান তিনি পাচ্ছেন না। দলের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের কথাও কখনও তাঁকে জানানো হয়নি। তাই খানিকটা ক্ষোভের সুরেই তিনি বলেন যে যেখানে যোগ্য সম্মান পাবেন, সেখানেই রাজনীতি করতে চান। সরাসরি বলেন, 'টেকেন ফর গ্র্♌যান্টেড করার ফল কী সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। যোগ্য সম্মান না পাওয়ায় অনেকেই দল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন'। তারকার এই মন্তব্য যে তাঁর তৃণমূলে যোগদান দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়ালো তা লেখাই বাহুল্য। রাখির দিল তাঁদের দলের তারকা কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল র𒁏াজ্য বিজেপি। কিন্তু তাতে অনুপস্থিত ছিলেন রিমঝিম। অথচর তারপর তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যায় তাঁকে।