দীর্ঘ ১০ বছরের অপেক্ষা শেষে খালি হাতেই আদালত থেকে ফিরতে হল জিয়া খানের মা-কে। জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ থেকে প্রেমিಞক সূরজ পাঞ্চোলিকে নির্দোষ ঘোষণা করল বিশেষ সিবিআই আদালত।
এদিন বেলা ১২টার পর বিচারক এএস সইদ ঘোষণা করেন উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস সূরজ পাঞ্চোলি। এই রায় বড় ধাক্কা জিয়া খানের মা রাবিয়া খানের জন্য়। মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের অপেক্ষায় লম্বা সময় ধরে লড়াই চালাচ্ছেন রাবিয়া। এদিন আদালতের রায় ঘোষণার পর বিধ্বস্ত রাবিয়া খান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজ আত্ম🎶হত্য়ায় প্ররোচণার দায় থেকে রেহাই পেয়েছে। কিন্তু মার্ডারের অভিযোগ তো এখনও রয়েছে। প্রশ্ন হল আমার মেয়ে মরল কীভাবে? মৃত্যুর কারণ নিয়ে তো এখনও প্রশ্ন রয়ে গেল’।
এরপর রাবিয়া খান বলেন, ‘আমি তো শুরু থেকে বলছি এটা আত্মহত্যার কেস নয়, মার্ডার করা হয়েছে। আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব’। অন্যদিকে সূরজের মুক্তির পর পাঞ্চোলি পরিবারে খুশির হাওয়া। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ আদালতের বাইরে গাড়ি থেকে নামেন সূরজ। অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা জ়ারিনা ওয়াহাব। আদালত দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এই মামলার রায়দান করে। 🃏স্বাভাবিক ভাবেই এই রায়ের পর পাঞ্চোলি পরিবারে খুশির হাওয়া। এদিন ছেলে সূরজের সঙ্গে আদালতে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাব।
২০১৩ সালের ৩রা জুন মুম্বইয়ে ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হ♏য় জিয়ার ঝুলন্ত দেহ। ঘন্টা আগের সিসিটিভি ফুটেজেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফ্ল্যাটের ভিতর ঢুকতে দেখা গিয়েছিল জিয়াকে। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন সূরজ পাঞ্চোলি। বেশ কয়েক বছর ধরেই লিভ ইন সম্পর্ক𒁏ে ছিলেন সূরজ। পরে জামিনে মুক্তি পান সলমন খানের ‘হিরো’।
আরও পড়ু♉ন-‘প্রমাণের অভাব’, জিয়া খান আত্মহত্যা ম𒆙ামলায় বেকসুর খালাস প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলি!
জিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করত সূরজ, এমনটাই﷽ অভিযোগ প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জিয়ার মৃত্যুর প্রায় এ🅺ক বছর পর ২০১৪ সালের ৩রা জুলাই মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সরে সিবিআইয়ের জিম্মায় যায় এই মামলা। বছর দুয়েক পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সিবিআই জানায় আত্মহত্যাই করেছেন বলি-নায়িকা। ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।