♑ নিজের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধেই মারধর ও লাঞ্ছনার অভিযোগ আনলেন CID অভিনেত্রী বৈষ্ণবী ধনরাজ। নিজের মা ও ভাই-ই, তাঁরা নাকি তাঁকে মারধর করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে এমনই বিস্ফোরক অভি যোগ আনলেন বৈষ্ণবী।এখানেই শেষ নয় পুলিশের কাছে এবিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন বৈষ্ণবী।
𝔍জানা যাচ্ছে, বৈষ্ণবী থানে জেলার কাশিমিরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বৈষ্ণবীর মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে non-cognisable মামলা দায়ের করেছে। প্রসঙ্গত, কগনিজেবল অফেন্স বলতে বোঝায় এমন অপরাধ যেখানে একজন পুলিশ অফিসার ওয়ারেন্ট ছাড়াই বা আদালতের অনুমতি ছাড়াই গ্রেফতার করা যায় বিপরীতে নন কগনিজেবল অপরাধের ক্ষেত্রে, একজন পুলিশ অফিসারের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই বা আদালতের আদেশ ছাড়া তদন্ত শুরু করা যায় না। আর বৈষ্ণবী ধনরাজের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নন কগনিজেবল মামলা-ই দায়ের করেছে।
🐭শুক্রবার,বৈষ্ণবী ধনরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজের ক্ষতর ছবি দেখিয়েছেন। বৈষ্ণবীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘হাই, ইনি বৈষ্ণবী ধনরাজ। আমি হিমাংশু শুক্লার মাধ্যমে কথা বলছি। এই মুহূর্তে আমার সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন। আমি কাশিমিরা থানায় আছি। আমার পরিবার আমাকে নির্যাতন করেছে। আমাকে সত্যিই খুব খারাপভাবে আঘাত করা হয়েছে ( তার ক্ষত দেখায়)। মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রত্যেকের কাছে আমার সাহায্য দরকার। দয়া করে এসে আমাকে সাহায্য করুন।’ হিমাংশু শুক্লার x হ্যান্ডেলে উঠে এসেছে সেই ভিডিয়ো…।
🌠প্রসঙ্গত, বৈষ্ণবী ২০০৮ সালে ‘কসৌটি জিন্দগি কি’ এবং ‘করম আপনা আপনা’তে একটি ক্যামিও চরিত্র দিয়ে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন। ২০০৯ সালে, বৈষ্ণবী টেলিভিশন সিরিজ CID-তে যোগ দেন। ‘না আনা ইজ দেশ লাডো’তে অভিনয় করেন। এরপর বিয়ে করে একটা সংক্ষিপ্ত বিরতির পর, তিনি ২০১৩ সালে ‘পরভারিশ-কুছ খাট্টি কুছ মিঠি’র সঙ্গে ফের টেলিভিশনে ফিরে আসেন।
൲এছাড়াও বৈষ্ণবী ধনরাজকে ‘মধুবালা-এক ইশক এক জুনুন’-এ দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি বেগুসরাইয়ে মায়া মিথলেশ ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। অনুরাগীরা তাঁকে ‘মহাভারত’, ‘রান্নাঘর’ ‘চ্যাম্পিয়ন ৪’, টইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট', ‘ক্রাইম প্যাট্রোল’, ‘হাম নে লি হ্যায়- শপথ’, এবং ‘ফিয়ার ফাইলস’-এ দেখেছেন। বৈষ্ণবীকে শেষ দেখা গিয়েছিল বেপান্নাহ ছবিতে মাহি অরোরার ভূমিকায়।
🌜এদিকে ব্যক্তিগত জীবনে, ২০১২র ডিসেম্বরে নীতিন সাহরাওয়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বৈষ্ণবী। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি আইনি বিচ্ছেদে জন্য আবেদন করে এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।