প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রেম করা বারণ! পড়ুয়ারা এমনই অভিযোগ তুলছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ছাত্র-ছাত্রীকে ‘প্রাইভেট মোমেন্ট’ কাটাতে দেখলেই হচ্ছে ‘গার্জেন কল’। অনুশাসন আর পরম্পরার নামে এখন যেন ঠিক ‘মহব্বতে’র গুরুকুল হয়ে গিয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, বলছ𝕴েন নিন্দকরা। সেই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় সর্বত্র। বিশ্বব🌼িদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠনও এহেন ঘটনার সমালোচনা করেছেন। এবার মুখ খুললেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ‘এক্স=প্রেম’ পরিচালক। ঘটনাচক্রে সৃজিত আবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী! প্রেসিডেন্সি বিতর্ক সংক্রান্ত একটি খবর নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে শেয়ার করে নেন সৃজিত। সঙ্গে লেখেন-'যাহ বাবা! কলেজে প্রেম করবে না তো কী ধাপার মাঠে প্রেম করবে?' সৃজিতের অনুগামীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে। কলেজে রা💟জনীতি করা যাবে কিন্তু প্রেম করা যাবে না? এবার কেমন কথা? কলে🍎জ-প্রাঙ্গনে প্রেম তো অতি সাধারণ বিষয়।
পড়ুয়াদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ এমনটাই। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ফুটেজ ক্যামেরাবন্দি করে তা অভিভাবকদের দেখানো হচ্ছে। ছেলেমেয়েকে ‘শালীনতার পাঠ’ পড়ানোর উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে। অন্তত পক্ষে চার জন যুগল এই পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন গত কয়েকদিনে। শুক্রবার এই অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছিল চাপা উত্তেজনা। একাধিক ছাত্র সংগঠনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্সের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এইভাবে শিক্ষ💝ার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইꦬলে আগামিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবার কথা জানানো হয়েছে।
ওদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাফাই কোনওভাবেই তাঁর নীতি পুলিশি চালানোয় বিশ্বাসী নয়। তবে প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ﷺবরে অশালীন ঘটনা ঘটছে, যা কাঙ্খিত নয়, তাই হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে কিছু পড়ুয়াকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে, তাই বাধ্য হয়েই ‘ধরপাকড়’ চালানো হয়েছে। ডিন অফ স্টুডেন্স অরুণ মাইতি এই সময়কে জানান, ‘আমাদের নীতি পুলিশি চালানোর অভিপ্রায় নেই। তবে প্রকাশ্যে কীভাবে ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটাতে হয়, সেই নিয়ে সচেতন ও কাউন্সিলিং করতেই ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন সৃজিত। পরবর্তীতে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ‘অটোগ্রাফ’ পরিচালক। জেএনইউ থেকেই পিএইচডি ডিগ্রিও লাভ করেছেন সৃজিত🦋। সদ্যই ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং শেষ করেছেন সৃজিত। পুজোয় ‘দশম💧 অবতার’ নিয়ে হাজির হবেন, আপতত চলছে সেই ছবির রেইকি।