কদিন আগে রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে খাট থেকে পড়ে যান বর্ষীয়ান পরিচালক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত চলচ্চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। জানা যায়, ফিমার বোনে চিড় রয়েছে। বুকে সংক্রমღণের কারণে, রয়েছে শ্বাসকষ্টও। আপাতত ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। বাবা অসুস্থ, খোঁজ নিয়েছেন কি ঋতাভরী চক্রবর্তী? জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে।
দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে দেখাশোনার জিম্মা নিজের কাঁধে নিয়েছেন অর্ঘ্য মুখোপাধ্য়ায়। তিনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, ‘কেউ তো খোঁজ রাখে না। পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি। ঋতাভরী বা চিত্রাঙ্গদা কিংবা শতরূপা স্যানালকে জানানোর প্রশ্ন আসে না। গতবার অসুস্থতার খবর নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। উনি আমাকে ছেলে বলে মানেন। আমাকে বহুবার বলেছেন, আমি ওটা ভুলে যেতে চাই। পিতৃত্ব তো ভোলা যায় না। তবে উনি ওই ট্রমায় আর ফিরতে চান না।🙈’
এখবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ফের বিতর্কে অভিনেত্রী ও উৎপলেন্দুর মেয়ে ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবার। যদিও বহু বছর হল আলাদা থাকছেন শতরূপা সান্যাল, তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে। একাই বড় করেছেন। বছরখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে, শতরূপা ♔জানিয়েছিলেন একপ্রকার পালিয়ে এসেছিলেন তিনি স্বামীর ঘর থেকে। মা-বাবা আশ্রয় না দি🅺লে, দুই সন্তানকে বড় করা সহজ হত না। সেই সময় পরিচালক-বরের উপরে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগও আনেন। এমনকী, উৎপলেন্দুবাবু নিজেও দুই মেয়ের খোঁজ নেননি কোনওদিন বলেই জানান।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফ থেকে ফোন এলে ঋতাভরী জানালেন, মিডিয়ার কল্যাণে সব খবরই তিনি জানেন। ‘বাবা’র খোঁজ নিয়েছেন কি না প্রশ্নে খুব স্পষ্টভাবেই দিলেন উত্তর। জানালেন, ‘গত ৩০ বছরে তো উনি আমাদের কোনও খোঁজ নেননি। সবাই আমাদের পি♉ছনে এরকমভাবে পড়েছে কেন জানি না। ওঁর তো আরেকটা বউ-বাচ্চা আছে। তাদে🍃র পিছনে পড়ুক। ওঁর তো একটা বিয়ে নয়। দুটো বিয়ে। ওঁর আগের স্ত্রী ইন্দ্রাণী। ছেলে গোগোল। তাঁদের পিছনে পড়ুক না লোক। ৩০ বছরে তো লোকটার মুখই দেখলাম না।’
আরও পড়ুন: দিতিপ্রিয়ার প্রেমিক ‘মুসলিম’!▨ হ🥃িজাবে ইদ উদযাপনের ছবি দিতেই শুরু বিতর্ক, বড় স্টেপ নায়িকার
আর্থিক সাহায্য করেছেন কি না, তা নিয়ে কথা বলতে চাইলেন না তিনি। ঋতাভরী জানান, ‘২৭ বছর উনি আমাদের কোনও দায়িত্ব নেয়নি। আমার বা আমার মায়ের-দিদির। লোকটাকে চোখেই দেখিনি। শুধু কথা শুনেছি। আমার মা আর আমার দিদিকে কী কী সহ্য করতে হয়েছে সেগুলো শুনেছি। আর হালকা কিছু স্মৃতি আছে চার বছর বয়সের। তবে এখন আর কোনও অশ্লীল কথা বলতে চাই না। উনি অসুস্থ। ওঁর নামে খারাপ কিছু বলা, ইমেজ নিয়ে টানাটানি, ঝগড়া কিছুই চাই না ♊আমি আর।’
‘ওঁর শুভাকাঙ্𒀰খী তো অনেক আছে। ওঁর তো আগেরও একটা সংসার আছে। তার পরে সংসার আছে কি🐓 না, তাও আমি জানি না। নাম-খ্যাতি থাকলে সবাই পিছনে পড়ে যায়। ৩০ বছর যাকে আমি দেখিনি। আমার স্কুলের একটা মাইনেও কিন্তু উনি দেননি, আমার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাননি। উনিও তো আমাদের জীবন থেকে হাত তুলে নিয়েছিলেন। উনি নিজের জীবনের সব সিদ্ধান্ত, বরাবর একাই নিয়ে এসেছেন। উনি একজন আলফা স্ট্রং মানুষ, যতদূর আমি জানি। আমার মাকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল ওই বাড়ি থেকে। ওঁর পাশে তো একজন আছে এখন। ওঁর হয়ে কো-অর্ডিনেট করছে। সরকার সাহায্য করছে। এসবই মিডিয়া থেকেই জানতে পারি। আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। আমি যা বলব, তা নিয়েই বিতর্ক হবে। এসব আমি আর চাই না।’
আরও পড়ুন: ভামিকা-অকায়কে নিয়ে অনুষ্কা কোথায়? গাজিয়াবাদের CCTཧV ফুটেজ শেয়ার বিরাটের বউয়ের
ঋতাভরীর জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মা। শতরূপা-কে ছাড়া একটা মুহূর্তও যে ভাবতে পারেন না তাঁরা 🔯দুই বোন, তা একাধিকবার জানিয়েছেন ত🍷িনি ও চিত্রাঙ্গদা। এবারও বললেন, ‘আমার মা অনেক শারীরক নির্যাতন সহ্য করেছে। আমাদের দুই বোনকে একা হাতে মানুষ করেছে। নিজের কেরিয়ার দাঁড় করিয়েছে। তো এসব আলোচনা করে আমি আর আমার মায়ের জার্নিটাকে খাটো করতে চাই না।’
‘ছোটবেলা থেকে মা আমার কাছে সূর্যের মতো। আমার আলটিমেট প্রোꦛটেকটর। আমার মন থেকে সহানুভূতি আছে ওঁর (উৎপলেন্দু) জন্য। কিন্তু, যে আমার মাকে কষ্ট দিয়েছে, ඣতাঁকে কি আমি কখনও ক্ষমা করতে পারি? কই আমার যখন দুটো সার্জারি হল, ওঁকে তো কেউ জিজ্ঞেস করেনি, মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন কি না! মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন কি না! আর আজকে ওঁর অসুস্থতার সময়, আমাদের টানা হচ্ছে।’, যোগ করেন ঋতাভরী নিজের কথায়।