পুজোতে 'মায়া' হয়ে টলিপাড়ার অনেককেই 'টেক্কা' দিতে আসছেন তিনি। একা একজন অপহরণকারীর পিছনে ধাওয়া করে ‘মায়া’ কি পারবেন মায়ের কোলে তাঁর অপহৃতা মেয়েকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে দিতে? তার উত্তর🐎 ছবি মুক্তি পেলে তবেই মিলবে। তবে তার আগে 'টেক্কা' নিয়েই নানান কথা Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। একই সঙ্গে RG কর নিয়ে মানুষের যে দীর্ঘ প্রতিবাদ চলছে, তা নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন রুক্মিণী।
আর জি করের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, তারপর নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। যে ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রুক্মিণী বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে কলকাতা কিন্তু দেশের মধ্যে সেফ সিটি। আর এই কলকাতাতেই যখন এমন একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘ💜টল, তখন সেটা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যেখানে দুর্গাপুজো নয়, নারীর পুজো হয়, সেখানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? তাই প্রতিবাদ হয়েছে যাতে যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরা যাতে বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে নেন। আমাদের মত একটা সেফ সিটিতে যদি এটা ঘটতে পারে, তাহলে দেশজুড়ে আরোও কত কী হচ্ছে! হয়ত আমরা সবকিছু জানতেও পারি না।'
রুক্মিণীর কথায়, ‘সবকিছুরই একটা শুরু থাকে। যেমন স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলা থেকেই বেশি মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন। তবে আমরা কিন্তু শুধু বাংলার মা𝓀নুষের জন্য স্বাধীনতা চাইনি দেশের জন্য চেয়েছিলাম। তবে আমার মনে হয় যে প্রতিবাদ হয়েছে, তা গোটা দেশজুড়ে হওয়া উচিত। শুধু স্বার্থপরের মতো বাংলার মেয়েদের জন্য করলে হবে না। কারণ, ৯ তারিখ আরজি করের ঘটনা ঘটার পর দেশজুড়ে বহু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। উজ্জয়িনীতে জনসমক্ষেꦕ ধর্ষণ হয়েছে, যেটা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে। তাই আমার মনে হয় এই প্রতিবাদটার প্রভাব যেন দেশজুড়ে থাকে। সমাজে সামগ্রিকভাবে যেন একটা পরিবর্তন আসে। এমন আইন আনা উচিত, যেন ছেলেরা ভয়ে ইভটিজিংও না করতে পারে।’
আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গেই সেক্স এডুকেশন চালু করার পক্ষে সওয়াল করেন রুক্মিণী। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়, দেশেরꦍ প্রত্যন্ত এলাকাতেও সেক্স এডুকেশন (যৌন শিক্ষা) আবশ্য়িক করা উচিত। সমস্ত বয়সের লোকজনের মধ্যে এই শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। শুধু অল্পবয়সীরা, নয়, প্রবীণ ব্যক্তিরাও নানান নোংরা কাজ করে থাকেন। তাই আমি সামাজিক পরিবর্তন চাই। আইনের পরিবর্তন চাই। যেমন ভোটের সময় বাড়িতে বাড়িতে যাওয়া হয়, ভোট প্রচারের জন্য। তেমন একটা গ্রুপ বানিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ‘যৌন শিক্ষা’ দেওয়া উচিত। ৮-৪০-৮০ সব বয়সের লোকজনকে একসঙ্গে বসিয়ে এবিষয়ে কথা বলা উচিত। প্রতিবাদের মাধ্যমে যদি সমাজের এই পরিবর্তন আনা যায়, তবেই সেটা সফল।’