পুজোয় এবার একসঙ্গে চার চারটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। আর এই ছবি চারটির মধ্যে অন্যতম হেভি ওয়েট এবং অবশ্যই সবথেকে বেশি চর্চিত ছবি হল দেবের ‘বাঘা যতীন’। যেভাবে ছবিটির প্রচার চালাচ্ছে টিম ‘বাঘা যতীন’ তা ইতিমধ্যেই সবার নজর কেড়েছে। তবে এই ছবির যিনি নায়িকা এটা কিন্তু তাঁর প্রথম ছবি। ডেবিউ ছবির অভিজ্ঞতা কেমন? কী কী শিখলেন? সবটা🌄ই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন সৃজা দত্ত ওরফে 'বাঘা যতীন'-এর ‘ইন্দুবালা’।
প্রথম ছবিতেই দেবের সঙ্গে, তাঁর বিপরীতে কাজের সুযোগ। অভিজ্ঞতাটা কেমন?
সৃজা: ভীষণ অপ্রত্যাশিত ভাবে সুযোগটা এসেছিল। ফার্স্ট ইয়ারে যখন ভর্তি হই তখনই এক বন্ধু খোঁজটা দেয় এই ছবির বিষয়ে। ছবি পাঠাই। এরপর ডাক পেয়ে অডিশন দিই। লুক টেস্টের দিন দেবদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, কিন্তু কথা হয়নি। আসলে আমি ওঁকে দেখে এতটাই মোহিত হয়ে গিয়েছিলাম যে সেটা সম্ভব হয়নি। এরপর যখন প্রথম প্রথম সেটে যেতাম তখন খুব ভয় লাগত, নার্ভꦺাস ফিল করতাম, আসলে এটা আমার প্রথম ছবি তাও সুপারস্টার দেবদার সঙ্গে। কিন্তু ওখানে সবাই এতটাই ভালো ছিলেন যে কী বলি! একটা ঘরোয়া পরিবেশ দিয়েছিলেন সবাই আমায়। এছাড়া সুদীপ্তাদির কথাও বিশেষ ভাবে বলতে চাই।
বলুন...
সৃজা: আমি আর সুদীপ্তাদি একসঙ্গেই থ🐼াকতাম, তৈরি হতাম, উনি আমায় খুব মোরাল সাপোর্ট দিতেন। মায়ের মতো আগলে রাখতেন। আসলে সবাই ভীষণ সাপোর্টিভ ছিলেন সেটে।
ইন্দুবালা হয়ে উঠতে গিয়ে কী কী শিখেছেন? ওয়ার্কশপ করেছেন?
সৃজা: ওয়ার্কশপ করেছি অনেকগুলি। অরুণ স্যারের ডিরেক্টরিয়াল টিম আমায় অনেকগুলি ওয়ার্কশপ করিয়েছিল। আমি যেহেতু এই ফিল্ডে নতুন আর আমার কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছিল না অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাই এটা খুব সাহায্য করেছিল। এছাড়া অরুণ স্যার আমার থেকে ইন্দুবালার যে যে জিনিস দেখতে চাইতেন, যা যা করতে বলতেন সেগুলো আমি বাড়িতে অভ্যাস করতাম। ওই সময়টা আমি বাড়িতে কেবল বাংলায় কথা বলতাম, চেষ্টা করতাম। শাড়ি পরে থাকতাম 🌳যাতে বিষয়টায় অভ্যস্থ হয়ে যাই। এছাড়া আমার বম্মা এবং দিদিমার সঙ্গে কথা বলে সেই সময়কার কথার ধরন, কথা এসব জানতাম।
আরও পড়ুন: স্ক্রিপ্ট পেলেও ছবিতে না দেবের! জিতের সঙ্গে কাজ করতে কোথায় আটকাচ্ছে 'বাঘা য⛦তীন'-এর?
গডফাদার ছাড়াও তবে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে নিজের জায়গা বানানো যায়?
সৃজা: আলবাৎ যায়। আমার তো কোনও গডফাদার ছিল না। ইন্ডাস্ট্রি🐭তে কোনও চেনাপরিচিত পর্যন্ত ছিল না। পুরোটাই চেষ্টায় হয়েছে। স্বপ্ন দেখেছিলাম যে এখানে কাজ করব, ভেবেছিলাম যতদিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি ততদিন চেষ্টা করব। আর হয়ে গেল বিষয়টা 🐟প্রথম চান্সেই। চেষ্টা করলে সব হয়।
বিশেষ কোনও অভিজ্ঞতা হল নাকি কাজ করতে গিয়ে?
সৃজা: যে মেয়ে একেবারেই রান্নাঘরে ঢোকে না সে এখানে বেগুন কেটেছে। আমি একদম বটি কী করে ব্যবহার করত𝕴ে হয় জানতাম না।🌞 তো টিমের সবাই আমায় বটিতে কী করে সবজি কাটতে হয়, কী করে ধরতে হয় শিখিয়েছে। এরম আরও অনেক ছোটখাটো অভিজ্ঞতা আছে। এই অভিজ্ঞতা আমার কাছে সবসময় বিশেষ হয়ে থাকবে।
পুজোয় একসঙ্গে চারটে দুর্দান্ত ছবি আসছে। তার মধ্যে এটা আপনার প্রথম ছবি, নার্ভাস? নাকি এক্সাইটেড?
সৃজা: ৪টে ছবিই ভীষণ ভালো, চাই ৪টে ছবিই খুব ভালো ব্যবসা করুক। ক🌺িন্তু এগুলোর মধ্যে বাঘা যতীন অনেকটাই আলাদা। এটা আমাদের ইতিহাসের কথা বলে যা সবার জানা উচিত। আর আমি নার্ভাস কেবল একটা জিনিস নিয়েই, যে দর্শকদের আমায় কেমন লাগবে। বাকি সবটা নিয়ে দারুণ এক্সাইটেড।
আরও পড়ুন: 'হিট করলে আনন্দ সবার⛄, ফ্লপ হলেই...' সুপারস্টার হওয়ার চাপ বোঝালেন দেব
আরও পড়ুন: 'ইতিহꦓাস তৈরি করতে এসছি, করবও', নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাফ বার্ত🍸া দেবের
নতুন কোনও ছবির অফার এল নাকি?
সৃজা: হ্যাঁ কয়েকটা অফার পেয়েছি, কথা হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছুই ফাইনাল হয়নি। সামনেই আমার পরীক্ষা তাই তাতে মন দিচ্ছিღ এখন।
আচ্ছা এবার একটু রাপিড ফায়ার হোক?
সৃজা: নিশ্চয়।
প্রশ্ন: দেব সহঅভিনেতা হিসেবে কেমন?
সৃজা: ভীষণ সিরিয়াস।
প্রশ্ন: দেব সিনিয়র হিসেবে কেমন?
সৃজা: ভীষণ কুল। বুঝতেই দেননি না যে উনি আমার সিনিয়র।
প্রশ্ন: প্রযোজক হিসেবে?
সৃজা: সবার খেয়াল রাখেন।
অভিনেত্রী না হলে কী হতেন?
সৃজা: ডাক্তার।
হ্যাঁ! অভিনয় থেকে সোজা ডাক্তার?
সৃজা: হ্যাঁ। আসলে আমার ꦅমা, দাদু সকলেই চিকিৎসক। তাই আমিও ওটাই হতে চাইতাম। কিন্তু তারপর যা হয়। ভাগ্য নিয়ে এল এদিকে।