তিন মাস আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাঁর রেসিডেন্ট পারমিট রিনিউ না হওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সেই সমস্যা অমিত শাহের সৌজন্যে সমাধানের মুখে। এর মাঝেই নতুন সমস্যায় জর্জরিত ‘লজ্জা’র স্রষ্টা। সোমবার বিকাল থেকে ফেসবুক ‘মৃত’ দেখাচ্ছে তসলিমা নাসরিনকে। কী চমকে গেলেন তো? আরও পড়ুন-‘আমাকে মহান ভারতে থাকতে দিন..’, শেষ রেসিডেনღ্স পারমিটের মেয়াদ! অমিত 🍨শাহর কাছে কাতর আর্জি তসলিমার
তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দেখাচ্ছে 'রিমেম্বারিং'। কেউ মারা গেলে সাধারণত মেটা এই রিমেম্বারিং লেখাটি প্রোফাইলে দেখায়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে কেউ মারা গেলে আবেদন জানাতে হয়, সেই তথ্য ভ্যারিফাই করে তবেই প্রোফাইলে রিমেম্বারিং মুডটি অন হয়।ꦺ
তসলিমা একদম সুস্থ-স্বাভাবিক রয়েছেন। তার পরেও কেন ঘটল এমন ঘটনা? এই প্রসঙ্গে লেখিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তিনি কড়া ভাষায় জানান, ‘বাংলাদেশের মাদ্রাসায় পড়া ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা বা জিহাদীরা ফেসবুকের চেয়েও বেশি চতুর। তারা নানাভাবে ফেসবুকের সিস্টেমকে ব্যবহার করে মানুষকে এক্সপ্লয়েট করে। আমার বক্তব্যকে খণ্ডন করার তাদের যুক্তিবুদ্ধি নেই বলে গণ-রিপোর্ট করে ফেসবুককে দিয়ে আমার পোস্ট ডিলিট করায়। চতুর লোকগুলো ফেক ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে ফেসবুকের কাছে পাঠিয়ে বলে দেয়, ও মরে গে𓃲ছে। ফেসবুকের রোবট আমাকে কবর দিয়ে দেয়, আমার একাউন্ট বন্ধ করে দেয়। অথচ আমি মরিনি। আমাকে নানা ভাবে প্রমাণ করতে হয় আমি মরিনি।’
তিনি আরও যোগ🍒 করেন, ‘এত বার করে ফেসবুককে বলছি, আমি এখনও মরিনি। ফেসবুকের কানে যাচ্ছে না আমার কথা। একটা ভেরিফায়েড একাউন্টকেও এরা নির্যাতনের শিকার করতে পারে। ফেসবুকের জানা উচিত, কিভাবে খারাপ লোকেরা ফেসবুকের সিস্টেম ব্যবহার করে ভাল লোকদের এক্সপ্লয়েট করছে। ফেসবুকের কাছে অনেকবার আবেদন জানিয়েছি, এখনও ফিরিয়ে দিচ্ছে না আমার একাউন্ট।’
৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনও ফেসবুক কর্তৃপক্ষে তসলিমা নাসরিনের অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দেয়নি। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলেও সরব হয়েছেন লেখিকা। তিনি একটি পোস্টে জানান, 'মেটা, ফেসবুক আপনারা আমার ফেসবুক প্রোফ🌜াইলকে স্মৃতি বানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে আমি ভীষণভাবে জীবিত রয়েছি। দয়া করে এটা সরিয়ে ঠিক করুন।' সঙ্গে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের একটি স্ক্রিনশটও পোস্ট 💟করেছেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর🍷 আগে ২০২২ সালেও একবার তসলিমাকে ফেসবুকের তরফে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়েছিল।