পরপর জি বাংলা এবং জি টিভির সারেগামাপা প্রতিযোগিতায় লোকগান নিয়ে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বাউলশিল্পী অনন্যা চক্রবর্তী। হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানি, শংকর মহাদেবণ-সহ দেশে🌟র সেরা সঙ্গীতজ্ঞরা তাঁর লোকগানের ভক্ত। সাবলীল ভঙ্গিতে হিন্দি গানের শোয়ে পরিষ্কার বাংলা গান গেয়েছেন বারবার। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি এখন আইকন। শুধু গান নয় তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্টও এখন ভাইরাল।
অসমের শিলচরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঐক্যতানে যোগ দিতে এ▨সে অনন্যা জানালেন শুঁটকি মাছ তাঁর প্রিয় খাবার। অসমের মাটির গান শিখছেন এবং ভবিষ্যতে তা নিয়ে কাজ করতে চান। এছাড়াও কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা না হওয়ার আক্ষেপ রয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি।
প্রথমবার অসমে আসার অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে একদিকে যেমন সুরের বিবিধতা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়ার সুযোগ। আমরা পশ্চিমবঙ্গে থাকলেও বংশগত পরম্পরায় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। আমার মা নোয়াখালীর এবং বাবা ময়মনসিংহের। বাংলাদেশের খাওয়া, 💛বিশেষ করে ইলিশের শুঁটকি আমার প্রিয়। শিলচরে আসার পর যাঁরা আশেপাশে ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করেছি এখানে ভালো খাবার কী? তাঁরা জানিয়েছেন, তাজা মাছ এবং শুঁটকি। সুযোগ পেলে অবশ্যই আমার প্রিয় খাবার খেয়ে যাব। না হলে ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসব।’
সারেগামাপায় বাংলার বিভিন্ন মাটির গান তুলে ধরেছেন অনন্যা। কিন্তু অসমের লোকসংগীত ছিল না সেখানে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'অসমের লোকসংগীত নিয়ে নতুন করে শিখছি। পাপন দা'র কাছ থেকে অসমীয়া গান শিখছি এবং বরাক উপত্যকায় যে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে, এই অঞ্চলের লোকসংগীত নিয়ে আরও অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছি। আমি নিজেকে এখনও 🤡সংগীতের ছাত্রী হিসেবেই গণ্য করি। শেখার কোনও শেষ নেই এবং সুযোগ পেলেই শিখবꦆ। হয়ত কোনওদিন এই অঞ্চলের লোকসংগীত নিয়ে কিছু কাজ করার সুযোগ পাব।'
জি বাংলার সারেগামাপা অনুষ্ঠানে লোকসংগীতকে🌌 এক নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। তাঁর শহরে আসার অনুভূতি ব্যক্ত করতে 🐻গিয়ে অনন্যা বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য, যে বছর আমি জি বাংলার সারেগামাপায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, তার এক বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। আমি প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলাম এবং অনেকেই বলতেন, আমার উপর কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের আশীর্বাদ রয়েছে। তাঁর মতো মানুষ সশরীরে না থাকলেও কাজ থেকে যায় এবং আমরা তাঁর উপস্থিতি অনুভব করতে পারি। এই জন্মে তার কাছ থেকে সরাসরি গান শেখার সুযোগ পাইনি, তবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আগামী জন্মে যেন এই সুযোগ পাই।’
আরও পড়ুন: Sa Re Ga Ma Pa 2021: বাপ্পিদার অনুরোধে অনন্যা গাইল ‘তোমার ঘরে বসত করে🅺 কয় জনা’, মুগ্ধ হয়ে শুনল সকলে
জি বাংলা এবং জি টিভির সারেগামাপা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগের অনন্যা এবং পরের অনন্যার মধ্যে কী তফাৎ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আগেও ভবঘুরে ছিলাম, এখনও একই আছি। এখন অনেকটা সর্টেড ভবঘুরে। আগে তথ্য সংগ্রহ করতাম নিজের জন্য। এখꦑন শ্রোতার কথা ভাবি, আর পাঁচজন শিল্পীর কথা ভাবি। এখন গান শুনলে তার থেকে অনেক বিষয় শেখার চেষ্টা করি। যা আগেও করতাম কিন্তু ধরনটা ছিল আলাদা।’
বরাক🌼 উপত্যকায় এসেছেন। এই এলাকায় সাধারণ মানুষ সিলেটিতে কথা বলেন। অনন্যা বাউল শিল্পী এবং মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন। তিনি পরিষ্কার সিলেটিতে বলেন, 'শিলচর আইসি, খুব ভালা লাগসে, আবার আইমু।' অর্থাৎ শিলচরে এসে খুব ভালো লেগেছে আবার আসব।