আনন্দের পাশাপাশি খারাপ সময়ে যাঁরা পাশে থাকেন, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, ভরসা জোগান, তাঁরাই তো আসল বন্ধু। আর এ রকমই এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্বের গল্প সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। টলিউডের পরিচিত মুখ ঐন্দ্রিলা শর্মার হাত ধরে। কিছু দিন আগেই ‘জিয়নকাঠি’ ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্রে যিনি রয়েছেন, সেই ঐন্দ্রিলা শর্মা দ্বিতীয় বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এই খবরে একেবারে ভেঙে পড়েন তাঁর সহকর্মী আর ভক্তরা। কেমো থেরাপি চলার জন্য মাথার চুল কেটে ফেলা ন্যাড়া হয়ে যেতে হয় অভিনেত্রীকে। আর এই লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলার পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ন্যাড়া হয়ে যান তাঁর বন্ধু পারমিতা সেনগুপ্তও। ২০১৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সে বার এই দুরারোগ্য ব্যধির সঙ্গে লড়াই করে জিতেও গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। স্বাভাবিক জীবনযাপনও শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফের ফুসফুসে একটি টিউমার ধরা পড়ে। বায়োপসি রিপোর্টে ধরা পড়ে, টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট। হাসপাতালের বেডে শুয়ে এই খবর অভিনেত্রী নিজেই জানান। এই খবর জানাতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ঐন্দ্রিলা। এই সময়ে তাঁর ছায়াসঙ্গী হন বয়ফ্রেন্ড সব্যসাচী চৌধুরী। ‘বামাক্ষ্যাপা’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার কেমো থেরাপি শুরু হওয়ায় মাথার চুল উঠতে শুরু করে। যে কারণে অভিনেত্রী ন্যাড়া হয়ে যান। এক ঢাল চুল কেটে ফেলার জন্য অবশ্য কোনও রকম আফসোস করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং তিনি নিজের ন্যাড়া মাথার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘চুলেই নারীর সৌন্দর্য, আর নয়’। লড়াকু এই অভিনেত্রীর পাশে থাকতে তাঁর কাছের বন্ধু পারমিতা সেনগুপ্তও ন্যাড়া হয়ে গিয়েছেন। এতে হয়তো আরও মনের জোর বাড়বে ঐন্দ্রিলার। পারমিতার ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে দিয়ে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, ‘কিছু বন্ধুত্ব এরকমও হয়’।