বিভিন্ন বাস্তব ঘটনা থেকে তৈরি হওয়া সিনেমা বহুবার মুক্তি পেয়েছে ⭕বড় পর্দা ও ওটিটি প্লাটফর্মে। তেমনি একটি বাস্তব ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হওয়া সিরিজ হল IC 814: The Kandahar Attack। গত মাসে সিরিজটি নেটফ্লিক্স - এ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক জটিলতা।
IC 814: The Kandahar Attack সিরিজে ছিনতাইকারীদের আসল পরিচয় সম্পর্কে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে গত সোমবার এই সিরিজটি নিষিদ্ধ করার জন্🤪য দিল্লি হাইকোর্টে পি আই এল দায়ের করা হয়েছে কৃষক এবং হিন্দু সেনা সভাপতি সুরজিৎ সিং যাদবের পক্ষ থেকে।
সুরজিৎ সিং যাদবের দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, সিরিজটিতে প্রকৃত ছিনতাইকারীদের নাম বদলে রাখা হয়েছে ভোলা এবং শংকর, যা হিন্দু দেবতা ভগবান শিবের অন্য নাম। যেখানে ছিনতাইকারীরা মুসলিম ধর্মালম্বী ছিল, সেখানে কি করে নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুরজিৎ সিং যাদব। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিরিজটি নিষিদ্ধ কর🐼ার জন্য দিল্লি হাইকোর্ট নেটফ্লিক্স-এর কনটেন্ট হেডকেও তলব করেছ꧟েন।
(আরও পড়ুন: নেকড়েরা নরখাদক হয়ে উঠছে কেন? জানুন বাহরইচে ভয়ানক নেকড়ে ꦍহামলার আসল কারণ)
এবার সিরিজের মধ্যে দেখানো দুটি ভুলের কথা তুলে ধরলেন꧟ IC 814 - এর পাইলট ক্যাপ্টেন দেবী শরণ। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজটিতে দুটি ঘটনার কথা দেখানো হয়েছে যা সেদিন বাস্তবে ঘটেনি। এই ওয়েব সিরিজটিতে দেখানো হয়েছে, বিজয় বর্মা যিনি লাইটের ক্যাপ্টেনের চরিত্রে অ♉ভিনয় করছেন, তিনি প্লেনের হোল্ডারের কাছে নেমে যান এবং লাইনগুলি খুলে দেন যাতে টয়লেট গুলি ব্যবহার করা যায়।’
দেবী শরণ দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমি নিজে প্লাম্বিং লাই💎ন ঠিক করিনি। তালেবান কর্তৃপক্ষ কর্মী প✅াঠিয়েছিল, আমি তাঁকে এয়ারক্রাফ্ট হোল্ডে নামিয়ে দিয়েছিলাম কারণ তিনি জানতেন না লাইনগুলি কোথায় থাকে। আমি নিজে এই কাজ একেবারেই করিনি।’
(আরও পড়ুন: ঝাল♈ ঝাল কিছু খেতে চাইছেন? চটপট বানিয়ে ফেলুন ডিম ভাপা, রইল রেস꧅িপি)
দেবী শরণ আরও বলেন, ‘পঙ্কজ ꩵকাপুর যিনি যশবন্ত সিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তাঁর অভিনয়ের কিছু দৃশ্য সিরিজের চিত্রায়নকে অতিরঞ্জিত করেছে, 🐬যেটি কোনভাবেই বাস্তব সম্মত নয়।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কাঠমান্ডু থেকে নতুন দিল্লির দিকে রওনা হওয়া একটি বিমান আকাশ পথে হাইজ্যাক🦩 হয়ে যায়। হাইজ্যাকাররা তিনজন হাই-প্রোফাইল জঙ্গির মুক্তি দাবি করেছিল, তাঁরা হলেন মাওলানা মাসুদ আজহার, আহমেদ ওমর সাইদ শেখ এবং মুশতাক আহমেদ জারগার। বিস্তর আলোচনার পর যাত্রীদের মুক্তির বিনিময়ে তিন জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছিনতাইকারীদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছিলেন।