রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া কান চলচ্চিত্র উৎসবে কেন নিজের সিনেমা দেখিয়েছেন? এমন প্রশ্ন তুলে ফিল্ম পরিচালককে জেলে পাঠাল ইরানের প্রশাসন। জেল হয়েছে ছবির প্রযোজকেরও। অভিযোগ, পরিচালক সঈদ রৌস্তায়ির তৈরি ‘লীলা’স ব্রাদার্স’ ছবিটি নাকি ইসলাম বিরোধী। তাই ‘লীলা’স ব্রাদার্স’ ছবিটি মুক্তির পরই ইরানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আর সেই ছবি নিয়েই কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক সঈদ রৌস্তায়ি এবং প্রযোজক জাভেদ নরোজবেইগি। ছবিটি কানে প্রদর্শিত হয়, এবং প্রশংসিতও হয়। আর তাতেই রাষ্ট্রের আক্রোশের মুখে পড়েছে🌄ন ইরানের পরিচালক সঈদ রৌস্তায়ি।
কিন্তু কী আছে তাঁর ‘লীলা’স ব্রাদার্স’ ছবিতে?
ছবিতে ইরানের ভেঙে পড়া অর্থনীতি, প্রতিবাদকারী বিক্ষোভকারীদের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর মারধর, রক্তাক্ত ইরানের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গিয়েছে একটি পরিবার কীভাবে ইরানের মুদ্রার দ্রুত অবমূল্যায়নের কারণে তাঁদের সমস্ত সঞ্চয় হারায়, আর সেটার উপর ভ꧑িত্তি করেই সিনেমার গল্প এগিয়েছে। ছবিতে দেখানো হয় বয়স্ক কুলপতি, তার পরিবারের সম্পদ মজুদ করে এবং ব্যক্তিগত গৌরবের জন্য তাঁদেরকে জোরপূর্বক বদনাম করতে বাধ্য করে। যেটা কিনা ইরানের ধর্মতন্ত্রের রূপক হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে দ🍒াবি।
এদিকে 'Leila's Brothers' ছবিটি কানে দুটি পুরস্কার জেতে। এটি বিখ্যাত ফরাসি চলচ্চিত্র উৎসবেও সফল প্রদর্শিত হয়েছিল। তবে তেহরানের কর্তৃপক্ষ ছবিটিকে অস্কারের জন্য মনোনীত করেনি,উল্টে সমালোচনার মুখে পড়েন পরিচালক সঈদ রৌস্তায়ি। অভিযোগ ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সুপারিশ মেনে ছবিতে কাটছাঁট করেননি পরিচালক। উল্টে রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়াই ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আর🦋 তাই ‘লীলা’স ব্রাদার্স’-এর পরিচালক সঈদ রৌস্তায়ি এবং প্রযোজক জাভেদ নরোজবেইগিকে ৬ মাসের জন্য জেলের সাজা শুনিয়েছে ইরানের আদালত। তবে পুরো সময়টা জেলে থাকতে হবে না তাঁদের মাত্র ৯ দিনের জন্য জেলে থাকলেই চলবে। বাকি সময়টা নাকি দেশের ঐতিহ্য বজার রেখে কীভাবে ছবি তৈরি করতে হয়, তা নিয়ে কোর্স করতে হবে তাঁদের। এই সময় তাঁরা অন্য পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না।