পরনে শাড়ি, হাসিমাখা মুখ বিধানসভার অন্দরে একফ্রেমে বন্দি হলেন তৃণমূলের তিন তারকা বিধায়ক- জুন মালিয়া, অদিতি মুন্সি এবং লাভলি (অরুন্ধতী) মৈত্র। মাস কয়েক আগের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় বাজি ছিল টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখেরা, বলা যায় টলিপাড়ার মহিলা ব্রিগেড। বেশিরভাগই নিরাশ করেননি প্রিয় ‘দিদি’কে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও হারের মুখে দেখেছেন সায়নী-সায়ন্তিকা এবং কৌশানি। বাকি তারকা প্রার্থীরা সকলেই জয়ের মুখ দেখেছেন। হেরে গিয়েও রাজনীতির ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সায়নী-সায়ন্তিকা। অন্যদিকে জুন,লাভলি, অদিতিরা নিজ নিজ বিধানসভা♕ কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন।
সোমবার থেকে শুরু꧙ হল রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। উপনির্বাচনের পালা মেটবার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভা অধিবেশনের বাদ্যি বেজে গেল। প্রথমদিনই ঘটনার কম ঘনঘটা ঘটেনি সেখানে। তবে কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে তৃণমূলের তিন তারকা বিধায়ককে এদিন পাওয়া গেল একফ্রেমে। মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া তাঁর অপর দুই সহকর্মী, রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রের নব নির্বাচিত বিধায়ক অদিতি মুন্সি এবং সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র-র সঙ্গে একফ্রেমে ধরা দিলেন।
ছবিতে লাল-হলুদ শাড়ি, খো♋ঁপা বাঁধা চুল আর বড় লাল টিপে পাওয়া গেল জুন মালিয়াকে, অন্যদিকে হলুদ কাঁথা স্টিচের কাজ করা শাড়িতে হাসিমুখে ধরা দিলেন অদিতি মুন্সি। হাতজোড়া মেহেন্দি আর সবুজ রঙা শাড়িতে ঝলমল করলে💮ন লাভলি মিত্র।
ছবির ক্যা🦄পশনে জুন মালিয়া লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথমদিন আমার দুই সহকর্মী অদিতি ও অরুন্ধতীর সঙ্গে’।
এদিন বিধানসভায় নিয়মমতো শোকপ্রস্তাব পাঠের পর অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার ক🐽থা নির্দিষ্ট ছিল। তবে তাল কাটে দু-মিনিট নীরবতা পালনের সময়। খবর, প্রয়াত বিধায়কদের প্রতি শোকজ্ঞাপনের সময় আচমকাই মোবাইল ফোন বেজে উঠে বিধানসভা কক্ষে। একবার, দুবার নয়, তিনবার বেজে ওঠে মোবাইল ফোন। এর জেরেই স্পিকারের কড়া নির্দেশ, এবার থেকে বিধায়করা মোবাইল ফোন বাইরে🐻 রেখেই অধিবেশনে আসবেন। তবে এদিনের পরিস্থিতি নিয়ে শাসক- বিরোধী কেউ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। আগামিকাল থেকে বিধানসভায় শুরু হবে প্রশ্নোত্তর পর্ব। আগামী সোমবার নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর।