২ মার্চ বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টোরাজ। আপাতত সে বিয়ে নিয়ে ট্রোলের বন্যা। শুধু যে অসম বয়সের বিয়েইꦚ এসেছে আলোচনায়, তেমনই নয়। বরং তাঁর বিয়েতে থাকা একটি বোর্ডও নিন্দের কারণ। যেখানে লেখা ছিল, ‘দয়া করে! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী আর গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষেধ’।
এরই মাঝে ভাইরাল হল শ্রীময়ীর একটা ইনস্টা স্টোরি। দ্বিরাগমনে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন শ্রীময়ী। সেখানেই বোনের ছেলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন একটা মিষ্টি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য উ📖পহারে নিয়ে গিয়েছেন এক বাক্স চকোলেট।
আরও পড়ুন: অস্কারের মঞ্চে নগ্ন হলেন জন সিনা, কেন এত বড় অ্যাওয়ার্ড 🎉শো-তে এমন কাণ্ড ঘটালেন!
নীল জামা আর কালো প্যান্ট পরে বসে আছে ওই খুদে খাটে। কপালে কাজলের টিপ। আর শ্রীময়ী সেই বাচ্চাটিকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’ যাতে সেই পুচকে জবাব দেয়, ‘না’! এরপর খানিক মজার ছলেই কাঞ্চন-পত্নী বলে উঠলেন, ‘কোনও পুরুষ আমার সঙ্গে এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। কেউ আমাকে রিফিউজ করেনি’! তবে সেই ছোট বাচ্চাটি অবশ্য নিজের চকোলেট ভাগ করে নেয় শ্রীময়ীর সঙ্গে। পাশ থেকে আবার কাঞ্চন বলে ওঠেন, ‘༺এটা (চকোলেট) ভালো, তুমি ভালো নয়’।
আরও পড়ুন: ‘কীভাবে ঐশ্বর্য সহ্য করে’! মানসিক অবসাদ নিয়ে জয়ার ‘অমা☂নবিক’ মন্তব্য, এমন কী বললেন
মাত্র ২৬ বছরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টোরাজ। বয়সে যদিও কাঞ্চন তাঁর থেকে ২৭ বছরের বড়। তবে ৫৩ বছর বয়সে বিয়ের ব্যাপারে কোনও দ্বিধা ছিল না তাঁর মনে। প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, তিনি প্রথম থেকে এমন পুরুষই চেয়ে এসেছেন যে ম্যাচিওর। সিক্স প্যাক, ফোর প্যাক বা চুলে স্পাইক করা ছেলেদের প্রতি আগ্রহ নেই সেভাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, বয়সের ব্যবধানে নিজেদের মধ্য🌃ে খুব ভালো বোঝাপড়া থাকে। পরিবার একটু চিন্তিত থাকলেও, তিনি সেসব নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ‘এমন হাবভাব…’, বনিবনা ছিল না সুচিত্রা সেন-লিলি চক্রবর্তীর, উত্তম ছ🧜িল নেপথ্যে?
তবে, কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে নিয়ে সব মাতামাতি এক নিমেষে শেষ হয়ে গিয়েছে ৬ মার্চ রাতেই। নেটপাড়ার আমজনতা শুধু নয়, তারকাদেরও রোষের মুখে পড়েছেন নব বিবাহিত দম্পতি। শ্রীলেখা মিত্র থেকে তথাগত, জিতু কমল, ঋদ্ধি, ভাস্বর একাধিক টলিউড ত൩ারকা গিয়েছেন তাঁর বিপরীতেই। তবে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনও নির্দেশ দেননি তাঁরা হোটেলকে। শুধু বলেছিলেন, এই ৩ ছদ্মনামে যাতে কেউ তাঁদের বিয়ের ভেন্যুতে প্রবেশ করতে না পারে। লেখার বয়ান যোগ করা হয়েছে হোটেলের তরফে।