বৃহস্পতিবার কঙ্গনা রানাওয়াত ঘোষণা করলেন তাঁর চর্চিত ছবি মণিকর্ণিকার সিক্যুয়েল। ছবির নাম ‘মণিকর্ণিকা: দ্য লেজেন্ড অফ দিদ্দা' (Manikarnika Returns: The Legend Of Didda)। কাশ্মীরের যোদ্ধা রানি দিদ্দার কাহিনি এবার পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন ✅বলিউডের অনস্ক্রিন ‘কুইন’। তবে এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দিদ্দার আত্মজীবনীর রচয়িতা। তাঁর দাবি কঙ্গনা ‘চরমভাবে তাঁর একক অধিকার লঙ♋্ঘন করেছেন’।
‘দিদ্দা- কাশ্মীর কি যোদ্ধা রানি’-র লেখক, আশিস কলের দাবি দিদ্দার গল্পের উপর তাঁর এক্সক্লুসিভ কপিরাইট রয়েছে। এবং গত বছর সেপ্টেম্বরে কঙ্গনা রানাওয়াতের কাছে তিনি প্রস্তাব রেখেছিলেন এই কাহিনিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে রুপো꧑লি পর্দায় তুলে ধরতে। তবে পরবর্তী সময়ে কঙ্গনার ম্যানেজার তথা দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের তরফে কোনওরকম জবাব মেলেনি। তবে আশিস𓂃 বিশ্বাস করেন কঙ্গনাকে ‘ভুল পথে চালিত করা হয়েছে’ কিংবা লেখকের সঠিক বার্তা অভিনেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আশিস বলেন, ‘আপনি কি কোনওভাবে এটা বিশ্বাস করতে পারেন আপনার কল্পনাতেও যে একটা গল্প তথা একটা বই একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী জবরদখল করবে? উনি হয়ত বলতেই পারেন দিদ্দা একজন ঐতিহাসিক চরিত্র, সেটা সত্যি..যদিও এই বিশ্বের কোনও ঐতিহাসিক ওঁনাকে ইতিহাসের পাতায় জায়গা দেননি, একমাত্র কলহন ছাড়া। কলহন ওঁনাকে নিতে দু-পাতা লিখেছিলেন। আর আমি জীবনের ৬ বছর ওঁনাকে নিয়ে রিসার্চ করেছি, তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমি আতঙ্কগ্রস্ꦅত যে ওঁনার মতো সজাগ, জ্ঞানী, এবং জাতীয়তাবাদী… যিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান…তিনি নিজের পরিচিত ইমেজকে খর্ব করলেন’।
আশিস আরও জানান, ‘উনি চরমভাবে আমার ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করেছেন, এটা বেআইনি এবং IP🌳R ও এদেশের কপিরাইট আইনের বিরুদ্ধে। তবে আমি এখনও বিশ্বাস রাখছি যে ওঁনাকে ভুলপথে চালিত করা হয়েছে’।
কঙ্গনা বৃহস্পতিবার টুইট করেন- ‘আমাদের ভারতবর্ষ সাক্ষী আছ✤ে ঝাঁসি রানির মতো অনেক বীরাঙ্গনার গল্প নি⛦য়ে। এই রকমই আরো একটা বীরগাথা আছে কাশ্মীরের এক রানির, যে মেহমুদ গজনিকে একবার নয় দু’বার হারিয়েছেন’। প্রযোজক কমল জৈনের সঙ্গে এই সিনেমা প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন কঙ্গনা।
কে ছিলেন দিদ্দা?
দ্বাদশ শতাব্দীতে কলহন রচিত কাশ্মীরের ইতিহাস ‘রাজতরঙ্গিনী’ থেকে জানা যায় লোহরা রাজবংশের মেয়ে ছিলেন দিদ্দা। রাজা কাসেমাগুপ্তের সহধর্মিনী হন তিনি, বিয়ের অল্প কয়েক বছরের পর স্বামীর মৃত্যু হলে নাবালক ছেলে অভিমন্যুর অভিভাবক হিসাবে কাশ্মীরের রাজ্যভার (৯৮০-১০০০) গ্রহণ করেন তিনি। পুরুষতান্ত🙈্রিক সমাজব্যবস্থায় রানি হয়ে রাজ্যপাট চালতে গিয়ে বহু ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হন তিনি, তবে সব বিদ্রোহকে কঠোর হাতে দমন করেছিলেন তিনি। যদিও ভারতের ইতিহাসে সেইভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি এই নারী চরিত্র।
২০১৯ সালে দ🌠ারুণ সাফল্য পেয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতের ইতিহাস নির্ভর সিনেমা ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’। এবার আরও একটি ঐতিহাসিক সিনেমার ঘোষণা করলেন কঙ্গনা। কাশ্মীরের রানী দিদ্দার গল্প এবার সেলুলয়েডে বন্দি করতে চান অভিনেত্রী।
‘মণিকর্ণিকা ♓রিটার্নস: দ্য লেজেন্ড অব ডিড্ডা’ ছাড়াও কঙ্গনা রানাওয়াতের ঝুলিতে এখন রয়েছে এ এল বিজয়ের ‘থালাইভি’, রজনীশ ঘাই পরিচালিত ‘ধাকড়’ এবং সর্বেশ মেওয়ারার ‘তেজস’।