ভোট থেকে চড়কাণ্ড সবটা নিয়েই কঙ্গনা রানাওয়াত এখন সংবাদের শিরোনামে। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে সম্প্রতি মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন অভিনেতা। তিনি এবং বিতর্ক সমার্থক। তিনি নানা সময় নানা বক্তব্🌠ꦓযের জন্য সমালোচিত হন। আর এবার অভিনয় নিয়ে এক মন্তব্য করে তিনি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
অভিনয় প্রসঙ্গে কী বলেছেন কঙ্গনা?
'দ্য হিমাচলি পডকাস্ট'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ জানান যে, রাজনীতির চেয়ে চলচ্চিত্রে কাজ করা অনেক সহজ। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, অতীতেও নাকি বহুবার তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেযℱ়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মঞ্চ থেকে পর্দায় উত্তরণ! মুখ ও ♈মুখোশের খেলায় কতটা জমল 'অথৈ'? প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল༺ কি?
সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা হিন্দিতে যা বলেছেন, তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'এই প্রথম নয় যে, আমাকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। 'গ্যাংস্টার'-এর পর আমাকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রপিতামহ কম করে তিনবার বিধায়ক হয়েছিলেন। দেখুন, আপনি যদি এমন একটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন যেখানে আপানার পরিবারের অন্য কেউ সাফল্য পেয়েছিলেন, সেখানে স্থানীয় নেতারা আপনার কাছে তো আসবেই এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে। এটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু আমি নয়, আমার বাবাও এই অফার পেয়েছিলেন। আমার দিদিও অ্যাসিড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তাকেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাই আমাদের কাছে রাজনৈতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়াটা এমন কিছু ব🔯ড় কথা নয়...আমি যদি এতে আগ্রহী না হতাম, তাহলে আমাকে এত কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হতো না।'
আরও পড়ুন: ‘সাত বছর ধরে এই চরিত্রের আত্মা আমি🎃 নিজের মধ্যে বহন করছি’ܫ: ‘ অথৈ’ প্রসঙ্গে অর্ণ মুখোপাধ্যায়
অভিনয় প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি আমার প্যাশনকে ফলো 💟করেছিলাম। আর ছবির ক্ষেত্রে আমি যে শুধু অভিনয় করেছি তেমনটা নয়, সঙ্গে লেখক, পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছি। সেখানেও যতটা একাত্ম হয়ে কাজ করেছি, এখানেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এখানেও আমাকে যদি মানুষের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দিতে হয়, সেই ভাবেই কাজ করব। তবে এটা আমি অস্বীকার করব না যে রাজনীতি অভিনয়ের তুলꦚনায় বেশ কঠিন একটা বিষয়।’
প্রসঙ্গত, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে কঙ্গনা কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ৭৪,৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তবে ভোটে জেতার পরই তাঁর সঙ্গে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত কাণ্ড। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ অভিনেতা কঙ্গনা রানাওয়াতকে প্রকাশ্যে চড় মারার ঘটনাকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল দেশ তথা স্যোশাল মিডিয়া। বলিউডের 'কুইন'কে সিআইএসএফ-এর এক মহিলা জওয়ান চড় মারেন𓄧। চড় মারার কারণ হিসেবে তিনি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন। এই ঘটনার পর গোটা দেশ কার্যত দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মহিলা জওয়ানের সমর্থনে যেমন বহু মানুষকে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে, তেমনই নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে অনেকেই তাঁর কাজের বিপক্ষে প্রতিবাদ করছেন।