শিল্পী হিসেবে তিনি কতটা সফল, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ঘাত-প্রতিঘাতের মুখো🗹মুখি হয়েছেন বারবার। অবশেষে অভিনেত্রী লীনা চন্দভরকরের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন কিশোর কুমার। কিংবদন্তি শিল্পীর ৯৩তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক দু'জনের ভালোবাসার গল্প।
এক সাক্ষাৎকারে কিশোর-পুত্র অমিত কুমার বলেন, 'লীনা চন্দভরকরের সঙ্গে বাবা শেষমেশ খুশি পেয়েছিলেন। 'মমতা কি ছাও মে' ছবিতে ওঁকে একটি চরিত্র অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাবা। ওঁর স্বামী যখন মারা যান, উনি মুম্বই চলে আসেন। দু'টি ছবির কাজ শুরু করেন। তখন তিনি মানসিক অবসাদ কাটানোর বাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হন।'
প্রথম দেখাতেই নাকি লীনাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন কিশোর। কার্পণ্য করতেন না তাঁর মুখে হাসি ফোটাতে। অভিনেত্রীকে নিজের ভালোবাসার কথা জানাতে বিলম্ব করেননি তিনি। কিন্তু লীনা তখন সম্পর্কে জড়াতে রাজি ছিলেন না। অতীতে এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে লীনা বলেন, 'প্রথম সাক্ষাতে কিশোর কুমার বলেছিলেন, আমি যদি জীবনে থিতু হতে চাই, তিনি তার জন্য প্রস্তুত। আমি ওঁর কথা বুঝতে পারিনি। তখন তিনি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিই।'
আরও পড়ুন: মধুবালাকে বিয়ের জন্য নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন কিশোর কুমার? আসল সত্যিটা জানুন
এই ঘটনার কয়েক 🦩সপ্তাহের মধ্যেই লীনার বাবার সঙ্গে তাঁর বিতণ্ডা শুরু হয়। রাগে-ক্ষোভে বাড়ি ছাড়েন অভিনেত্রী। এর পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, 'উনি আমাকে তখনও বিয়ে করতে ইচ্ছুক ছিলেন কি না জানতে চেয়েছিলাম। এ ভাবেই আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
১৯৫০ সালে রুমা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর। ১৯৫৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এর পর মধুবালার সঙ্গে সংসার পাতেন কিংবদন্তি শিল্পী। কিন্তু অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর ফের একা হয়ে যান কিশোর। ১৯৭৬ সালে যোগিতা বালির সঙ্গে শুরু করেন নতুন অধ্যায়। কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকে না।
আরও পড়ুন: কিশোরের মুখে ‘রূপ তেরা মস্তানা’, মুচকি হাসি শর্মিলা-মনসুরের মুখে
শেষমেশ লীনার সঙ্গেই জীবনের শেষ কয়েকটি বছর আনন্দে কাটিয়েছেন কিংবদন্তি শিল্পী। তাঁদের প্রেমের গল্প আজও চর্চিত।
আরও পড়ুন: ‘কিশোর ওকে সময় দেয়নি,দাম্পত্য জীবনে সুখ ছিল না’, বিস্ফোরক মধুবালার বোন