৭০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারী🦹 চিকিৎসকরা, লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে না তাঁদের প্রতিনিধি দল। সুপ্রিম রায়ের পর চারদিন পেরেলেও কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। স্নায়ুর যুদ্ধে হার না মানার জেদ তাঁদের চোখেমুখে।
শুক্রবার প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিবাদস্থল ছাড়ল না জুনিয়র ডাক্তাররা। মাথার উপরের ত্রিপল কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ফুটো হয়ে ঝমঝমিয়ে জল পড়তে থাকল, ভিজে অবস্থাতেই রꦍব উঠল- 💎‘আরও জোরে বৃষ্টি হোক, আমার দিদির বিচার হোক’! প্রবল বৃষ্টিও সমাজ শোধনের উৎসব থেকে টলাতে পারল না চিকিৎসকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরপর দ্রুত বার্তা ছড়িয়ে পড়ে, জুনিয়র ডাক্তারদের মাথার উপর ত্রিপলের শক্ত ছাউনির জন্য। সেই বন্দোবস্ত হতে না হতেই, ফের শহরবাসীর দ্বারস্থ হল শুরু থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পাশে থাকা বেশকিছু জনৈক। ভিজে কাপড়ে ঠাণ্ডা লাগতে পারে জুনিয়র ডাক্তারদের, এছাড়াও টিভি ক্যামেরার সামনে ভিজে পোশাকে বসতে অস্বস্তিতে মহিলা চিকিৎসকরা। তাই শুকনো পোশাক জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তা শুক্রবার বিকালে ছড়িয়ে পড়ে। সেই পোস্ট শেয়ার করে নেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা ঘোষরা।
বার্তায় লেখা ছিল- ‘যাঁরা সল্টলেক এরিয়ায় আছেন, তাঁরা 🍌যদি কিছু শুকনো জামাকাপড় পৌঁছে দিতে পারেন অবস্থানের জায়গায়। ভারী বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন অনেকে। কিছু শুকনো জামাকাপড় হলে ভালো হয়। ঠাণ্ডা লাগাটা আটকানো যায় আর কি। তা ছাড়া, মহিলারা আছেন। ক্যামেরার সামনে তাঁরা ভীষণ স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না ভেজা জামাকাপড়ে।’
বেশি সময় লাগেনি। শুরু থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকা শহরবাসী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় জামাকাপড় নিয়ে হাজির স্বাস্থ্যভবনের সামনে। সেই 🌊আপটেডও জানান স্বস্তিকা।
অবস্থানরত চিকিৎসকদের জন্য জা🉐মাকাপড়ের ব্যবস্থা রয়েছে, ডেকরেটার্সের লোকজন পৌঁছে বাঁশ দিয়ে শক্ত করে ত্রি𒁃পল টাঙানোর কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার নবান্নে পৌঁছেছিলেন জুনয়ির ডাক্তারেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হননি লাইভ স্ট্রিমিং ( সরাসরি সম্প্রচার) করতে। যা নিয়ে পরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়…. কেস চলছে, ডাইরেক্ট সুপ্রিম কোর্ট যেটা করতে পারে, সেটা আমরা করতে পারি না। সাবজুডিশ ব্যাপার …তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম’। সঙ্গে, জুনিয়র ডাক্তারদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বলেও উল্লেখ করেছেন মমতা। এমনকী, তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতির যোগ আছে বলেও, অভিযোগ তোলেন তিনি🃏।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যভবন চত্বরে শুরু হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। যা মাঝে কদিন এই অবস্থান বিক্ষোভের জন্য বন্ধ রেখেছিলেন। তবে এবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকেই রুগী দেখবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী, বুধবার রাতে এক পুলিশকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে, এই জুনিয়র ডাক্তাররাই তাঁর প্রাণ বাঁচান। অবস্থান মঞ্চেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যান নিকটবর্তী হাসপাত♈ালে।