বাংলা ছবি ‘অপরাজিত’ নিয়ে উন্মাদনা বুঝিয়ে দিয়েছে সিনেমা ভালো হলে এখনও দর্শক হলমুখী হতে তৈরি। তবে এই ছবি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি! সত্যজিৎ রায়ের উপর ভিত্তি করে বান🐼ানো সিনেমা ‘নন্দনে’ হল না পাওꩲয়ায় খচে লাল হয়েছিল দর্শক। প্রথমদিকে তো মাল্টিপ্লেক্সগুলিতেও শো কম পেয়েছিল এই সিনেমা।
বিতর্কের আঁচ থিতিয়ে আসতেই তা উসকে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে তিনি প্রশ্ন ত🍸ুললেন সিনেমার পরিচালক অনীক দত্তের দিকে নির্দেশ করেই। তিনি সরাসরি জানতে চাইলেন ‘অপরাজিত’ ছবির ভাবনা কতটা মৌলিক! নাকি অন্যের ভাবনা ধার করে (টুকেও বলা যায়) ছবিটা বানানো হয়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল? তিনি টুইট করেছেন, ‘২০১২ সালে নথিভুক্ত ‘পথের পাঁচালী’ ত🍃ৈরির ছবিটির শুটিং চলছে। নানা কারণে দেরি। এক থিমে ছবিꦓ। জেনে নাকি না জেনে? প্রচারের চাপে আসল টিম কোণঠাসা? তাঁদের ছবির কাজ চলছে। সেই ছবিটিও মুক্তি পাবে। টলিউড, থিম কি হাইজ্যাকড হল? তদন্ত হোক।’
নিজের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কতগুলি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনীক। যাতে দেখা যাচ্ছে প্রসেনজিৎ ঘোষের নামে ২০১২ সালে নথিভুক্ত করা হয়েছে ‘বিষয় পথের পাঁচালী’ নামে একটি সিনেমার রেজিস্ট্রেশন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে কুণাল জানান, পুলিশের কিছু কর্মীরা সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানাতে এই ছবি তৈরির কথা ভেবেছিলেন। কাজও শুরু করেছিলꩲেন। তবে নানা কারণে সেই গতি স্লথ হয়ে যায়। আর সেই মাঝেই এসে যায় ‘অপরাজিত’।
কুণাল ঘোষের কথায়, ‘কিছু পুলিশকর্মী নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাঝে সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানাতে একটি ছবি তৈরির প্রচেষ্টা করছিলেন। সেখানে সেই এক ভাবনা নিয়ে আরেক পরিচালক তাঁর ছবি বের করে ফেলল। এটার নেপথ্যে কী কা☂রণ তা অবশ্যই বাংলার মানুষের সামনে আসা দরকার। টলিউডে থিম হাইজ্যাক কর𒆙ার ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, ‘অপরাজিত’ ছবিতে সত্যজিতের ভূমিকায় দেখা মিলেছে জিতু কমলের। জিতুকে প্রথম দেখে চমকে উঠেছিল বাংলার মানুষ। ঠিক যেন সত্যজিৎ বসে আছেন সামনে। বিজয়া রায়ের চরিত্রে সায়নী ঘোষ। পরিচালনায় অনীক দত্ত। দর্শকদের মধ্যে বহ𝔍ুল প্রশংসিত হয়েছে ছবিখানা। এখন দেখার কুণাল ঘোষের এই দাবি সামনে আসার পর কী প্রতিক্রিয়া দেয় আমজনতা ও ছবির পরিচালক!