💃 দিন কয়েক আগেই বিদায়ী সাংসদ আর স্থানীয় বিধায়কের তরজা দেখছিল শ্রীরামপুরবাসী। কাঞ্চন মল্লিককে ভোট প্রচার থেকে শুধু ছেঁটে ফেলেননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মিডিয়ার ক্য়ামেরার সামনেই উত্তরপাড়ার বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন তিনি। সেই নিয়ে মন কষাকষি, মান-অভিমান পর্ব চলেছে। তবে কল্যাণের খুশিতে শরিক কাঞ্চনও।
♕শ্রীরামপুরবাসী চতুর্থবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। প্রাক্তন জামাই কিংবা বামেদের তরুণ মুখ দীপ্সিতা কোনও ফ্যাক্টরই হতে পারেনি এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের সামনে। শ্রীরামপুর কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩ ভোট পেয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন জামাতা তথা পদ্মশিবিরের কবীরশঙ্কর বসুকে ৯৪ হাজার ১৭৫ ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করলেন তিনি। শ্রীরামপুরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কবীরশঙ্কর। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। বামাদের দীপ্সিতা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৪৪ ভোটই থামলেন।
💦কল্যাণের জয় নিশ্চিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়া ফলাও করে অভিনন্দন বার্তা দিলেন কাঞ্চন মল্লিক। তিনি লেখেন, ‘শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্থবারের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার জন্য ও বিশাল জয় পাওয়ার জন্য শ্রী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’। তবে কোনওরকম বিতর্ক এড়াতে (ট্রোলিং-এর ভয়েই হয়তো) এই পোস্টের মন্তব্য বাক্স বন্ধ রেখেছেন কাঞ্চন।
ꦬ'গ্রামের মহিলারা কাঞ্চনকে দেখলে রিঅ্যাক্ট করছে', এই কারণেই গত এপ্রিলে কোন্ননগরে বিধায়ক কাঞ্চনকে প্রচারসঙ্গী না করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
൲কেন রি-অ্যাক্ট করছেন তা খোলসা করেননি কল্যাণবাবু। নিন্দকদের ধারণা দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে হাঁটুর বয়সী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করা নিয়েই গ্রাম্যবধূদের চক্ষূশূল হয়েছেন কাঞ্চন। যদিও কাঞ্চন ভাঙবেন কিন্তু মচকাবেন না! তিনি পালটা বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি। গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে। আগেও কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে। আমিও চলে এসেছি। জানি না তিনি কেন চাননি, হয়তো তাঁর প্রচারের আলাদা কোনও স্ট্র্যাটেজি আছে।’
🌸লোকসভা নির্বাচনে কাঞ্চনকে তারকা প্রচারকদের তালিকায় রাখেনি দল। নিন্দকরা বলছিল, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের জেরেই তৃণমূলে অনেকটাই কোণঠাসা উত্তরপাড়ার বিধায়ক। এই ঘটনার পর অবশ্য দেব ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীকে নিজের এলাকায় প্রচারে ডেকে সম্মান দিয়েছিলেন। এদিন জয়ের মুখ দেখেছেন দেবও।