তিনি অভিনেতা, রাজনীতিবিদ, প্রযꦓোজক। তাঁর আসল নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী,💙 তবে তাঁকে সকলে মিঠুন চক্রবর্তী নামেই চেনেন। ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর, মারামারি করতেও পছন্দ করতেন তিনি। একসময় গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী নাম লেখান কুস্তিগীরের খাতায়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রেসলিং জুনিয়র শাখায় বিজয়ী হন তিনি। আবার মার্শাল আর্টেও তিনি ব্ল্যাক বেল্ট।
জীবনে বহু খারাপ-ভালো সময়ের মধ্যে দিয়েও গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। অনেক কঠিন সংগ্রাম করেছেন, আবার না খেয়েও থেকেছেন। তবে সেই মিঠুনই একদিন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় (FTII)-এ পড়াকালীন পরিচালক মৃণাল সেনের নজরে পড়েন। ‘মৃগয়া’য় অভিনয়ের সুযোগ পান। সেটা ছিল ১৯৭৬ সাল, 🅠জীবনে প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেই ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পান তিনি।
এদিকে অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেলেও সেসময় দিল্লি যাওয়ার𓃲 মতো আর্থিক সামর্থ্য🌌 ছিল না মিঠুনের। সেদিন কলকাতার এই ছেলেটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা। জানা যায়, সেসময় রেখার ছবির শ্যুটিং হচ্ছিল দিল্লিতে, মিঠুনকে স্পট বয় করে দিল্লি নিয়ে যান। তবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও আধপেটা খেয়া থাকতে হত মিঠুনকে। শুরুর দিকে মুম্বইয়ের রাস্তায় আধপেটা খেয়ে শুয়ে কাটিয়েছেন মিঠুন।
একদিন অমিতাভ রেখার 'দো আনজানে' ছবিতে স্পট হিসাবে কাজ করেছিলেন মিঠুন। সেসময় তিনি অমিতাভের জিনিসপত্র🧜 তুলে দিতেন, আবার রেখার সঙ্গেও শপিংয়ে যেতেন। পরিবর্তে ঘণ্টি নামক একটা চরিত্রে দেখা গিౠয়েছিল মিঠুনকে।
এদিকে বলিউডে বর্ণ বৈষম্যের শিকারও হতে হয়েছিল মিঠুনকে। গায়ের রং চাপা হওয়ার কারণে মিঠুনের সঙ্গে সেসময় বহু অভিনেত্রীই কাজ করতে চাননি। তবে সেই প্রথা ভাঙেন জিনাত আমন। তিনিই প্রথমবার মেইনস্ট্রিম ছবিতে মিঠুনের নায়িকা হতে রাজি হন। মিঠুন ও জিনাত-এর সেই ছবির নাম ছিল ‘তাকদীর’, ১৯৮৩🌼 সালে মুক্তি পায় । যদিও ১৯৮২ সালে 'ডিস্কো ডান্সার' মুক্তি পাওয়ার পরই মিঠুনের নাম ছিল সকলের মুখে মুখে।সেই ছবি ছিল ব্লকবাস্টার। একদিন 'গর♊িব'তকমা পাওয়া মিঠুন, আজ ৪০০ কোটির মালিক বলে জানা যায়।
এদিকে ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৯ সালে অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে বিয়ে করেন মিঠুন। তাঁদের তিন পুত্র সন্তান রয়েছেন। আবার তাঁদের সঙ্গেই থাকেন মিঠুনের দত্তক কন্যা দিশানী। আজ সুপারস্টার, মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর ৭৮ বছরের জন্মদিন। তবে এই দিনে বিশেষ সেলিব্রেশন পছন্দ নয় অভিনেতার। কেক কাটাও তাঁর পছন্দꦿের নয়। তবে এদিনটিতে পরিবারের সঙ্গেই ক🎃াটাতে পছন্দ করেন মিঠুন। 'মহাগুরু'র জন্মদিনে Hindustan Times Bangla-র তরফেও রইল অনেক শুভেচ্ছা।