🔯 যাদবপুরে নাবালক ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বুধবার যাদবপুরের ছাত্র মৃত্য়ু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সোহমকে। তিনি বলেন, ‘যাদবপুরের ঘটনায় আমি হতবাক। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এরা যাতে কঠোরতম শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
😼সোহম চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসাবে আমি বলব, আমরা সকলেই ছাত্র জীবন অতিক্রম করে এসেছি। ছাত্রজীবন পার করেই যে যাঁর লক্ষ্যে পৌঁছেছি। এই অপরাধীরা ছাত্রের ভেক ধরে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য থেকে যায়।’ এখানেই শেষ নয়, ক্ষুব্ধ সোহম বলেন, 'এরা আসলে সাইকো পেশেন্ট। র্যাগিং এমন বিষয় নয় যে করতেই হবে, এটা তো আর বাধ্যতামূলক নয়। এমন নয় যে এটা করলে দেশ উদ্ধার করতে পারব। আজ যেমন যাদবপুরের ছাত্রটি মারা গেল। এর আগও র্যাগিং-এর শিকার হয়ে অনেক ছাত্র মারা গিয়েছেন। এসব হয়েছে এই সাইকো কিলারদের জন্য।'
ꦚসোহমের সাফ কথা, ‘সব ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। বহিরাগত ছাত্ররা যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরা পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা যেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে বের হয়ে যান, সেটাও দেখতে হবে। যাঁদের মানসিকতা এমন যে জুনিয়রদের অত্যাচার করতে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আইন হাতে নিতে পারি না। কিন্তু ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, এদের পাবলিকের হাতে তুলে দেওযা উচিত। ’
ꦦসোহমে কথায়, ‘এরা আমাদের লজ্জা। এরাই তো মুষ্টিমেয়, অথচ গোটা ছাত্রসমাজকে কলুষিত করছে। এদের এমন শাস্তি দিতে হবে যে এরপর কেউ র্যাগিং করতে এলে এটা ভেবেই পিছু হটে। সবার যেন এটা মনে হয়, র্যাগি করলে আমাদেরও এমন শাস্তি হবে।’ যাদবপুরের ঘটনায় বিদ্ধজনেদের পথে নামার অনুরোধ করেন, চণ্ডীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।
🌜এদিকে যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে নয় ছাত্রকে। এদিকে যাদবপুরের ঘটনায় মুখ খুলেছেন অভিনেতা, সঞ্চালক অরিত্র দত্ত বণিক। অরিত্র নিজেও যাদবপুরের কলা বিভাগের ছাত্র। তাঁর কথায়, যাদবপুরের শুধু সিনিয়র ছাত্ররাই নয়, শিক্ষকরাও নাকি গ্রাম থেকে আসা বহু ছাত্রকে র্যাগিং করেন। এদিকে যাদবপুরের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।