সম্প্রতি ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। তবে তাতে থেমে নেই তাঁর জীবন, স্বাভাবিক ছন্দে ছেলে অগস্ত্যকে নিয়েই দিন কাটছে তাঁর। মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই নাতাশা ও হার্দ🍷িকের ছেলে অগস্ত্যের ৪ বছরের জন্মদিন ছিল। আনন্দ করে নাতাশা উদযাপন করেছেন ছেলের জন্মদিন। অগ♈স্ত্যর জন্মদিনে তিনি থিম পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের নানা মুহূর্তের ছবি নাতাশা তাঁর ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করে নিয়েছেন। ছেলের জন্মদিনের থিম ছিল 'হট হুইলস'। তার সঙ্গে মিলিয়েই তিনি কাস্টমাইজড কেক রেখেছিলেন। তাছাড়াও অগস্ত্যর জন্মদিনের আয়োজনে নানা রকমের খেলনা ও সুস্বাদু খাবারেরও আয়োজন ছিল।
নাতাশার শেয়ার করা ছবি এবং ভিডিয়োগুলিতে, নাতাশাকে অগস্ত্যর সঙ্গে নানা পোজে দিতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে তিনি কেক ও থিমের ছবিও পোস্ট করেছিলেন। এছাড়াও তিনি অগস্ত্যর কেক কাটার মুহূর্তের ভিডিয়োটিও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা গিয়েছে অগস্ত্য আনন্দ করে হেসে হেসে কেক কাটছে। তার বন্ধꦏুরা তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে 'হ্যাপিবার্থ ডে' গাইছে, সেই তালে তালে দুলে উঠছে ছোট্ট অগস্ত্য।
আরও পড়ুন: 'এখন পর্যন্ত আমাদের…' বহুরূপী মুক্তির আগেই ছবির কো🍒ন বড় তথ্য ফাঁস করলেন শিবপ্রসাদ
ছবিতে নাতাশার মুখেও লেগেছিল হাস🦂ি। তাঁকেও বেশ শান্ত স্নিগ্ধ ও প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল। কখন অগস্ত্যকে নিয়ে আবার কখনও অগস্ত্যর সব ꦕবন্ধুদের নিয়ে ছবি তুলে শেয়ার করেছেন নাতাশা।
নাতাশা অগস্ত্যর জনꦏ্মদিনের নানা ছবি শেয়ার করার পাশꦉাপাশি একটি মিষ্টি বার্তাও লেখেন ছেলের জন্য। তিনি লেখেন, 'আমার সোনা ছেলে, তুমি আমার জীবনে শান্তি, ভালবাসা এবং আনন্দ নিয়ে এসেছ। আমার ভালো ছেলে, তোমায় আমি অনেক আশীর্বাদ করি। এত মিষ্টি ও দয়ালু তুমি, সবসময় এভাবেই থেকো। আমি এই পৃথিবীকে বদলাতে দেব না। তোমার মধ্যে থাকা সুন্দর মানুষটা যেন সব সময় তোমার সঙ্গে থাকে। আর আমি সবসময় তোমার পাশে থাকব। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। মা।'
আরও পড়ুন: বোটক্স নিয়ে কথা! কেন তারই মাঝে ‘সেদিনের নায়িকা’ র♔াধিকা মদন টানলেন করিনা প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে বিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু হয়, তারপর জুলাইয়ের শেষের দিকে তাঁরা একটি সমবেত পোস্ট করে জানান যে তাঁরা আলাদা হচ্ছেন। বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে তাঁদের। হার্দিক লেখেন, ‘চার বছর একসঙ্গে থাকার পর আমি ও নাতাশা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, নিজেদের সবটা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে দুজনের জন্য এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আনন্দ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাহচর্য আমরা একসঙ্গে উপভোগ করেছি এবং একটি পরিবার হিসাবে বেড়ে উঠেছি, এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল। অগস্ত্য আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে আমাদের দুজনের জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এবং আমরা তার সুখের জন্য যা কিছু করতে পারি তা নিশ্চিত করার꧋ জন্য আমরা সেটা অভিভাবক হিসাবে যৌথভাবে চেষ্টা করব।’