𝕴 বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র। ‘কি করে তোকে বলব’, ‘ফেলনা’-সহ একাধিক ধারাবাহিকে দর্শক দেখেছে তাঁকে। বর্তমানে ‘নবাব নন্দিনী’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। টেলিভিশন জগতে শুধু ক্যামেরার সামনে নয়, ক্যামেরার পিছনেও কাজ করেছেন সঙ্ঘশ্রী। একটি নামী চ্যানেলের ইপি (এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার) হিসাবে কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি নিজের স্ট্রাগল নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
𝔉মালদার মেয়ে সঙ্ঘশ্রী। আশুতোষ কলেজে পড়াশোনার সুবাদে কলকাতায় আসা তাঁর। ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি, কিন্তু ওজন বেশি হওয়ার কারণে বারবার বডি শেমিং-এর শিকার হয়েছেন সঙ্ঘশ্রী। ‘চেহারাটা দেখেছিস, ও নাকি অভিনেত্রী হতে চায়’-এই কথা শুনেই পথচলা তাঁর। আজ বেচে কাজ করবার সুযোগ হয়নি তাঁর, তিনি বললেন- ‘আমার কাছে যা কাজ আসে আমি তাই করি।’
ཧনিজের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও এদিন মনের ঝাঁপি খুললেন সঙ্ঘশ্রী। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। এর আগে দীর্ঘ ১১ বছর একটি বিষাক্ত সম্পর্কে ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘যে তোমাকে একদিন অপদস্থ করছে, যে তোমাকে রোজ অপদস্থ করবে। যে একদিন গায়ে হাত তুলছে সে রোজ হাত তুলবে। আমরা ভাবি ভুল করে করে ফেলেছে, কিন্তু সেটা ভুল করে হয় না। ওটা স্বভাব। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমার ভুল। আমি ১১ বছর এই বিষাক্ত সম্পর্কটায় ছিলাম। এরপর অনেক কষ্টে সেটা থেকে বার হয়েছি’।
🎉সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবার পর মায়ের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। আজ সুখে সংসার করছেন সঙ্ঘশ্রী। অভিনেত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সবসময় তাঁর স্বামী পাশে থেকেছে তাঁর, এই জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন সঙ্ঘশ্রী। ৩০ বছর বয়সে অভিনেত্রী হওয়ার লড়াই শুরু করতে খানিক ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সঙ্ঘশ্রী, জবাবে তাঁর হবু স্বামী জানিয়েছিল- ‘বোমান ইরানি ৪২-এ অভিনেতা হয়েছিলেন, তুমিও পারবে’। চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার দিনেই প্রথম সিরিয়ালে (প্রেমের কাহিনি) কাজ পেয়েছিলেন সঙ্ঘশ্রী। সেই শুরু। তবে অভিনেতা হওয়াটা সহজ নয়, অনেক কষ্ট করতে হয়, অকপট সঙ্ঘশ্রী।
🤪বডি শেমিং নিয়ে সঙ্ঘশ্রী জানান, ‘কতবার আমাকে রিজেক্ট করবে? বডি টাইপের জন্য কতবার রিজেক্ট করবে? একজন তো কাজ দেবেই। যদি না পাই তাহলে অন্য সুযোগ খুঁজব। কারণ জীবনের অপর নামই সুযোগ খোঁজা। তোমার স্বপ্ন সবকিছু ফুঁড়ে বেরিয়ে যাবে।'
🎐চেষ্টা থাকলে, পরিশ্রম করে গেলে নিজের জায়গা ঠিক তৈরি করা যায় এই আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী সঙ্ঘশ্রী।