৯০-এর দশকের সুপারস্টাররা একাধিক করে ব্লকবাস্টার দিতেন সারা বছর জুড়ে। তাঁরা যা ছুঁতেন তাই সোনা হয়ে যেত। শাহরুখ খানও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। স🦂ম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'কাল হো না হো' ছবির পরিচালক নিখিল আডবাণী শাহরুখ খানকে নিয়ে নানা কথা বলেন। বিশেষ করে নায়কের কাজের পদ্ধতি, সকলের সঙ্গে তাঁর মিষ্টি ব্যবহারের প্রশংসা করেন। যা তাঁকে আরও বেশি করে সকলের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে তার পাশাপাশি শাহরুখের অন্য একটি দিকও তুলে ধরেন। তিনি জানান, শাহরুখ প্রায়শই একটি ছবির প্রশংসা করতে গিয়ে অন্য ছবির সমালোচনা করতেন।
উদাহরণস্বরূপ, শাহরুখ একবার নাকি সঞ্জয় লীলা বনসালির ছবি 'দেবদাস'-এর প্রশংসা করছিলেন। সেই ছবিটিকে 'অসাধারণ' বলতে গিয়ে 'কাল হো না হো'-কে নাকি 'রাবিশ' (আবর্জনা) বলেছিলেনꦕ। সমালোচনা এবং প্রশংসার ভারসাম্য বজায় রাখার এই কৌতুকপূর্ণ অভ্যাসটি তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের দৃষ্টিভঙ্গির উপর ছাপ ফেলে।
আরও পড়ুন: 'এখন পর্যন্ত আমাদের…♔' বহুরূপী মুক্তির আগেই ছবির কোন বড় তথ্য ফাঁস করলেন শিবপ্রসাদ
গালাট্টা প্লাসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সময় 'কাল হো না হো'-এর পরিচালক নিখিল আডবাণী শাহরুখ খানের এই অভ্যাসটির কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, 'মহব্বতেন' বা 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' ছবির শুটিং চলাকালীন, শাহরুখ 'হে রাম'-এ কাজ করছিলেন। তিনি প্রায়ই সকলের সঙ্গে আড্ডায় যোগ দিতেন এবং অন্য কাজের প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ব🎀র্তমান টিমের কাজ নিয়ে তাঁদেরই হাস্যকরভাবে সমালোচনা করতেন।
আরও পড়ুন: বোটক্𒅌স নিয়ে কথা! কেন তারই মাঝে ‘সেদ꧃িনের নায়িকা’ রাধিকা মদন টানলেন করিনা প্রসঙ্গ
নিখিল আডবাণী আরও জানান, 'কাল হꦆো না হো'- এর সময়, শাহরুখ 'দেবদাস'-কে চমৎকার বলেছিলেন। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি নায়ক। তখন তিনি যে ছবিতে কাজ করছিলেন অর্থাৎ 'কাল হো না হো'-কে 'রাবিশ' (আবর্জনা) বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর সমালোচনা এবং প্রশংসার ভারসাম্য বজায় রাখার এই অদ্ভুত উপায় তখন দেখেছিলেন নিখিল আডবাণী। তবে এত কিছুর পরও পরিচালক সাক্ষাৎকারে জানান এই ছবিতে কা🍨জ করার জন্য কিং খান কোনও পারিশ্রমিক নেননি। আসলে 'কাল হো না হো' ছবিতে শাহরুখ অতিথি শিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবিটিতে সাইফ আলি খান এবং প্রীতি জিন্টাই মূলত প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৩ সালে বড় পর্দায় মুক্তি পায় এই ছবি। তাঁর ঠিক এক বছর আগে ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালির ছবি 'দেবদাস' মুক্তি পেয়েছিল। এখানে শাহরুখ ছিলেন নাম ভূমিকায়। তাঁর বিপরীতে 'পার্বতী'র ভূমিকায় ছিলেন ঐশ্বর্য রাই, 'চন্দ্রমুখী'র ভূমিকায় ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।