আর জি কর কাণ্ড ঘিরে উত্তাল গোটা রাজ্য। টলিউডও প্রতিবাদে মুখর। পথে নেমে আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর হয়ে বিচার চেয়েছেন স্বস্তিকা, শ্রীলেখা, মিমিরা। শহরে থাকলেও এই মামলা নিয়ে সেভাবে সরব হতে দেখা যায়নি নুসরতকে। অব🍒শ্যই সোশ্যাল𒉰 মিডিয়া এবং পাবলিক প্ল্যাটফর্মে নিজের মতামত দিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ, তবে তা খানিকটা দায়সারা।
আজক⛄াল লাইট ক্যামেরা অ্য়াকশন থেকে কিছুটা দূরে নুসরত। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘সেন্টিমেন্টাল’ ছবিতে, নতুন কোনও ছবি হাতে নেই তাঁর। কিন্তু সোশ্যা𝔉ল মিডিয়ায় বেজায় সক্রিয় যশ ঘরণী। আর জি করের নির্মম-নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেও যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভিডিয়ো ইনস্টায় শেয়ার করে ব্যাপক ট্রোলড হয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হল না নায়িকার। ইনস্টাগ্রাম ফিডে নতুন কিছু পোস্ট না করলেও স্টোরিতে পুজোর শ্যুটের ঝলক তুলে ধরলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
নুসরতের শেয়ার করা সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে আল্পনা আঁকতে ব্যস্ত নায়িকা। পরনꦰে সাবেকি পোশাক। কিন্তু রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে পুজোর গন্ধ যেন মন মাতাচ্ছে না বাঙালির। বরং সকলের একটাই দাবি, ‘মেয়েটা বিচার পাক’।𒐪 এর আগে গত ১৩ই অগস্টও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ব্যাপক ট্রোলড হয়েছিলেন নুসরত।
একজন লেখেন, ‘এই মেয়েটা আলাদা লেবেলের ক্লাউন’। অপর একজন লেখেন, ‘কোনও মানবিকতাই নেই, এ নাকি আবার মা?’ কেউ কেউ তো ধর্ষণের🐟 হুমকি পর্যন্ত দিতে ছাড়ে🐼ননি।
ট্রোলিং-এর ঘুম ভেঙেಞছিল নুসরতের। স্বাধীনতার আগের দিন তিনি আর জি কর নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, ‘মহিলারা কি আদৌ নিরাপ🐲দ? বেশি রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থই কি এই ধরনের হিংসাকে আহ্বান জানানো? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন? ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসকে আমাদের সামনে। আর এর মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল কলকাতা আর ‘সিটি অফ জয়’ রইল না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘একজ🔯ন কর্মনিষ্ঠ ডাক্তার রাতে নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন, তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দেয় কলকাতা নিরাপত্তা হারাচ্ছে। এটা আমাদের ভাবনার অতীত, এই খবরে তাঁর পরিবারের অবস্থা কী ছিল? ন্যায় বিচারের এই লড়াইতে আমি আছি। কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাবানদের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। আমি এমন নিষ্ঠুর কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।’