মঞ্চ, বড়পর্দা থেকে ওয়ে বসিরিজ- টলিপাড়ার পরিচিত মুখ কিঞ্জল নন্দ। কিন্তু হালে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী হয়ে উঠেছেন। কারণ অভিনয় তাঁর নেশা হলেও পেশায় তিনি চিকিৎসক। এগরার এরেন্দা গ্রামের ছেলে, বর্তমানে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রো বায়োলজিতে এমডি করছেন কিঞ্জল। ☂আরও পড়ুন-'পারিবারিক শিক্ষার অভাব', মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কি꧃ঞ্জলের আচরণ ‘অশোভন’? হল কটাক্ষ
৬ মাসের শিশুকন্যা, নাওয়া-খাওয়া ভুলে আরজি করের নি🎐র্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন কিঞ্জল, অনশন মঞ্চ সহকর্মীদের পাশে থেকেছেন। ৮ই অগস্টের রাতের দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে কিঞ্জলকে। দেখতে দেখতে প্রা⛎য় তিন মাস হতে চলল, এখনও সুবিচারের অপেক্ষায় আরজি করের খুন হওয়া চিকিৎসকের পরিবার।
ভাইফোঁটার দিন তাই আক্ষেপের সুর কিঞ্জলের গলায়। চিকিৎসক দিদিকে রক্ষা করতে পারেনি। ডিউটিতে থাকাকালীন ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, খুন হয়েছেন ৩২ বছরের সেই চিকি🎶ৎসক। তাই ভাইফোঁটার দিন কিঞ্জল জানালেন বিচার না পেলে তিনি কারুর থেকে ভাইফোঁটাও নেবেন না, আর রাখিও পরবেন না। ভাই/দাদাদের মঙ্গল কামনায় এই বিশেষ দিনে কপালে ফোঁটা দেন বোনেরা/দিদির। প্রার্থনা করেন তাঁদের দীর্ঘায়ুর। পরিবর্তে বোনেদের রক্ষার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় ভাইয়েরা। সেই কর্তব্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন কিঞ্জল, এমনটাই ধারণা তাঁর।
এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে তিনি লেখেন, ‘ভাই হিসেবে আগলে রাখতে পারিনি, বাঁচাতে পারিনি। যতদিন বিচার না পাব, ভাইফোটা নেবো🐼 না, রাখীও পরবো না।সেই যোগ্যতা হারিয়েছি।’ কিঞ্জলের পোস্টে অভিনেতা কৌশিক কর লেখেন, ‘আমি বলবো, আরো রাখী পড়, আরো ফোঁটা নে। একটা বাহিনী বানা বোনেদের নিয়ে। তারাই পারবে তোর লড়াইকে সফল করতে। লড়াই করতেই ত যৌথ অবস্থানের দরকার। আর সেইটাই তো 🐻আল্টিমেট শক্তি।’
আরও পড়ুন-প্রতিবাদের মুখ কিঞ্জলদের ভাইফোঁটা দেওয়ার কাতর আর্জি শ্রুতির— ‘আলাপ ন൩েই যদি…’
কিঞ্জলের কথায় কারুর চোখে জল, কেউ আবার ন্যায়বিচারের পথে এইভাবে🦄ই অটুট থাকার প্রার্থনা করলেন। তর൲ুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে একটানা ১৭ দিন অনশনে বসেছিলেন কিঞ্জলের সহকর্মীরা। গত ২১শে অক্টোবর তরুণীর বাবা-মা'য়ের আবেদনে অনশন তুলে নেন তাঁরা।
আরজি করের চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণের মামলায় প্রাধন অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই এখন জেল হেফাজতে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধর্ষণ ও 🃏খুনের মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয়, খবর তেমনই। ওদিকে পৃথক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে সিবিআই গ্রেফতার করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। খুন, ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটে তাঁদের সক্রিয় থাকার সন্দেহ দিন দিন গাঢ় হচ্ছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি।